১০ মে সমকালের প্রথম পাতায় একটি সংবাদের শিরোনাম 'বাণিজ্যমন্ত্রী দুষলেন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের।' এর আগে সংবাদমাধ্যমে দেখেছি, বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে ভুল করেছেন বলে আক্ষেপ করেছেন। এই দোষাদোষি আর বিশ্বাস-অবিশ্বাসে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের কিছু যায় আসে না। আমরা চাই দ্রব্যমূল্য ক্রয়সীমার মধ্যে থাক। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে সমন্বয় হবে- এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। যদিও সরকার অনেক পণ্যে ভর্তুকি দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখছে। আবার খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রীর এই দোষাদোষিতে মনে হচ্ছে, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে তিনি কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। রমজান মাসজুড়ে সয়াবিন তেলের মজুত হলো। অথচ এটা কর্তৃপক্ষ টেরই পেল না! অতীতেও তেলের সংকট ছিল। কিন্তু এত বড় সংকটে বাংলাদেশ কখনও পড়েনি। দেশে আগামী কয়েক মাসের ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে- এ কথা সরকার বারবার বললেও 'সংকট' সৃষ্টি হয়েছে বাজারে। এ অবস্থায় ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে সরবরাহকারী আট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে 'বাজারে কর্তৃত্বময় অবস্থান'-এর অপব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা তেল বিক্রি না করে মজুত করেছে- এমন অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান টিমের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া অনেকটা ধোঁয়াশাপূর্ণ। অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ বাজারের প্রতিযোগিতার আচরণের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। প্রতি লিটারে ৪০ টাকা বাড়তি খসে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে গ্রাহকরা হিমশিম খাচ্ছে।
সহকারী অধ্যাপক, নুরুল হক ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম

বিষয় : গোপা রানী দে

মন্তব্য করুন