মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনে যেয়ে বাঘের শিকারে পরিণত হওয়া মো. কাওছার গাইনের (২৮) মৃতদেহ ছয়দিনেও উদ্ধার করা যায়নি।

স্থানীয় বনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা নিহত কাওছারের মৃতদেহের সন্ধানে গত ৬ দিন জোর অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দেহাবশেষ না পেয়ে তারা অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

গত শনিবার সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ সংলগ্ন খেজুরদানা (নোটাবেকী) অংশে মধু সংগ্রহের সময় বাঘের কবলে পড়ে নিখোঁজ হন কাওছার। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী গ্রামের বাসিন্দা। ১২ বছর আগে তার বাবা আব্দুর রাজ্জাকও বাঘের আক্রমণে নিহত হন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, রোববার থেকে বন বিভাগের সদস্যদের সঙ্গে মিলে স্থানীয় গ্রামবাসী কাওছারের মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে। অনেক খোঁজাখোঁজির পর বাঘের শিকারে পরিণত হওয়া যুবকের সন্ধান না মেলায় উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত করা হয়েছে। 

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, নিহত কাওছার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। কাওছারের বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। কোনো সাহায্য না পেয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে কাটছে তাদের দিন।