- মতামত
- ডিজির চাকরির শেষ দিনে ১৯ শিক্ষক বদলি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
ডিজির চাকরির শেষ দিনে ১৯ শিক্ষক বদলি

করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ আছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক তাঁর চাকরির শেষ দিনে ১৯ শিক্ষককে বদলি করেছিলেন। এ বদলির আদেশ ডিপিইর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানার পর বদলি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
গত ১৪ জুন অবসরে যান ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। এর আগের দিন ১৩ জুন তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। মহাপরিচালক হিসেবে চাকরির শেষ দিনে তিনি ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলায় ১৯ শিক্ষককে বদলি করেন।
এ ছাড়াও চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)-এর আরডিপিপি অনুমোদন না হলেও সেখানে পরামর্শক পদে নিজেকে নিয়োগের প্রস্তাব নিজেই করে যান মহাপরিচালক।
বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ বদলিগুলো বাতিলের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, 'বদলির ব্যাপারটি আমাদের জানা ছিল না। আমরা তা জানার পরই খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। এ ব্যাপারে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সূত্র জানায়, বদলির নির্দেশনা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থেকে মাহমুদা আক্তার নামে এক শিক্ষক ঢাকা মহানগরের যাত্রাবাড়ীতে বদলি হয়েছেন। তিনি কাজেও যোগ দিয়েছেন।
ডিপিই সূত্র জানায়, যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁদের চিঠি গোপনে হাতে হাতে দেওয়া হয়েছিল; ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়নি। শুধু সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
মন্তব্য করুন