- মতামত
- ৬ বছরেও হয়নি ১০ কি.মি. রেলপথ
৬ বছরেও হয়নি ১০ কি.মি. রেলপথ

ফাইল ছবি
ভারতীয় অনুদানে আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ চতুর্থবারের মতো বাড়তে যাচ্ছে। ২ বছরের মধ্যে ১০ দশমিক ১ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে প্রকল্প শুরু হয়। কিন্তু তিন দফায় সময় বাড়িয়েও তা হয়নি। ব্যয় না বাড়িয়েই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে রেল মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী পরিষদের (একনেক) সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী ৭টি নতুনসহ ১১টি প্রকল্প উঠবে। নতুন প্রকল্পগুলো অনুমোদনের জন্য এবং পুরোনো প্রকল্প ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির জন্য তোলা হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলে আসছেন, প্রকল্প অনুমোদনের পর ব্যয় ও সময় বাড়ানো যাবে না।
বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়িয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) প্রথম সংশোধনীও অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। উত্থাপন করা হবে চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) ডিপিপির প্রথম সংশোধনীর প্রস্তাব।
২০১৯ সালের মার্চে শুরু হওয়া ৩১২ কোটি টাকার বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক প্রকল্পের অগ্রগতি ৩৫ শতাংশের মতো। গত জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব উঠবে সভায়।
৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকায় লালখান বাজার থেকে আমানত শাহ বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার উড়াল সড়ক প্রকল্প ২০১৭ সালের জুলাইয়ে একনেকের অনুমোদন পায়। দুই দফায় সময় বাড়িয়ে গত জুনে কাজ সম্পন্নের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। প্রকল্পের মেয়াদও দুই বছর বাড়তে যাচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। সাড়ে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথের ১০ দশমিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পড়েছে। ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার এই প্রকল্পে ভারত সরকার অনুদান দেবে ৪২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বাকি ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার জোগান দিচ্ছে। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পটির অগ্রগতি সাড়ে ৬১ শতাংশ।
প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিঞা সমকালকে জানিয়েছেন, ১ বছর ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডসহ প্রকল্প মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে রেললাইন নির্মাণসহ আনুষ্ঠানিক অবকঠামো তৈরির কাজ আগামী জুনে সম্পন্ন হবে।
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় (এডিপি) আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ প্রকল্পে ১০৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় অনুদান ৮৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ভারত এক টাকাও দেয়নি। সরকারি অর্থায়নও ছাড় হয়নি। তবে প্রকল্প অগ্রগতি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দুই মাসে কাজ দেড় শতাংশ এগিয়েছে। ভারতীয় ঠিকাদারকে বারবার তাগাদা দিয়েও কাজে গতি আনতে পারেনি বাংলাদেশ রেল। গত এপ্রিলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে কাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
মন্তব্য করুন