- মতামত
- সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞায় ডিজিটাল বৈষম্যের ঝুঁকি
গ্রামীণফোন
সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞায় ডিজিটাল বৈষম্যের ঝুঁকি

চলতি বছরের ২৯ জুন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষেধাজ্ঞা অনেকটা বিস্ময়করই ছিল। আমরা মনে করি, যত দ্রুত সম্ভব এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত। কেননা, শুধু একটি মাত্র অপারেটরের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বিনিয়োগকারী, শেয়ার মার্কেট, গ্রাহক স্বাধীনতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে কি সঠিক বার্তা দিচ্ছে?
সম্প্রতি বাংলাদেশে নিজেদের যাত্রার ২৫ বছর উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। কীভাবে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি দেশের সর্বস্তরের মানুষের হাতের নাগালে এসেছে; গ্রামীণফোনের যাত্রা সে গল্পই বলে। গ্রামীণফোনের মাধ্যমে রূপান্তরের এ গল্প আমাদের ও শেয়ারহোল্ডারদের অনুপ্রাণিত করেছে বিনিয়োগ ও নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নে।
গ্রামীণফোন বর্তমানে বাংলাদেশের অর্ধেক সংখ্যকের বেশি মানুষের পছন্দের টেলিকম অপারেটর। একদিকে নিজেদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল কানেক্টিভিটির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ গ্রামীণফোনের ওপর নির্ভরশীল; অন্যদিকে দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশ এবং উদীয়মান সব প্রযুক্তির চাহিদা পূরণে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের প্রত্যাশিত মানসম্পন্ন সেবা প্রদানে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে চলেছে।
দুর্ভাগ্যবশত ২৯ জুন থেকে গ্রামীণফোনের নতুন সংযোগ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে আমাদের নেটওয়ার্কে 'কলড্রপ' সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাদের মূল সেবা প্রদান করতে পারছি না। নতুন ও রিটার্নিং গ্রাহকদের প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারছি না। দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের বিস্তৃত ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক অঞ্চলের মানুষ ডিজিটাল কানেক্টিভিটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ও হবেন।
আমরা জানি, প্রযুক্তি-বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহরে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবার অভিজ্ঞতাপ্রাপ্তিতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। একই সঙ্গে এ সমস্যা শুধু টেলিকম অপারেটর একা সমাধান করতে পারবে না। গ্রাহক যে সেবা লাভ করেন, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্নিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন ফাইবার প্রতিষ্ঠান, টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের দলগত প্রচেষ্টার ফল। পাশাপাশি এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। আর এসব চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে এবং সফলতার সঙ্গে এই ইকোসিস্টেমের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি ও মান বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।
এটা ঠিক, আমাদের নেটওয়ার্কে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পকেট রয়েছে, যেখানে সেবার মান উন্নত হওয়া প্রয়োজন। এসব পকেটে কলড্রপ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ডের কিছুটা উপরে রয়েছে, যা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়নের (আইটিইউ) বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এসব এলাকায় সেবার মানোন্নয়নে আমরা নিরলস ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেবার মানোন্নয়নে আমাদের গৃহীত নানা উদ্যোগ নিয়ে নিয়মিত নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসছি এবং গ্রামীণফোন টিম ও ম্যানেজমেন্ট একে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করছে।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমাদের ড্রাইভ টেস্টের ফল অনুযায়ী কলড্রপের হার ছিল শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ, যা টেলিকম লাইসেন্সের মানদণ্ডের (২ শতাংশ) চেয়ে অনেক কম। সংক্ষেপে বলতে গেলে, কার্যক্রম পরিচালনা ও সেবাদানে সব মানদণ্ড আমাদের লাইসেন্সের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা মেনে চলা হচ্ছে। সেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এমন পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার আলোচনার সুযোগ কিংবা বিদ্যমান টেলিকম লাইসেন্স ফ্রেমওয়ার্কের কোনো রেফারেন্স উল্লেখ ছাড়াই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। প্যারামিটার বা সময়সীমা সম্পর্কিত কোনো তথ্য ছাড়া এবং নেটওয়ার্ক পকেটের ফলে উদ্ভূত সেবার মান সংশ্নিষ্ট সমস্যাগুলোর সঠিক বিবেচনা ছাড়াই একতরফাভাবে কেবল একটি অপারেটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেওয়ার ফলে আরও জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
চলমান এই নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব আরও বড় পরিসরে লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত, এটি দেশের নতুন মোবাইল সেবা গ্রাহকদের পছন্দের স্বাধীনতাকে খর্ব করে তাঁদের ডিজিটাল সংযোগ সুবিধা গ্রহণের সুযোগ সীমিত করে ফেলেছে। দ্বিতীয়ত, এটি দেশের অনেক জায়গায় সম্ভাব্য নতুন গ্রাহকদের টেলিকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। কেননা, কিছু এলাকায় শুধু গ্রামীণফোনেরই আধুনিক নেটওয়ার্ক রয়েছে।
টানা ২৫ বছর প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকার পর সম্প্রতি দেশের টেলিকম খাতে এ ক্ষেত্রে ২ শতাংশ অবনমন ঘটেছে, যার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। আমরা মনে করি, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থনৈতিকভাবেও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ডিজিটাল বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই নিষেধাজ্ঞা থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রা প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি হবে, যা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের পথ হয়তো আরও দীর্ঘায়িত করবে। একতরফা এ নিষেধাজ্ঞা দেশের টেলিকম খাতের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করবে, যার প্রভাব টেলিকমের বাইরে অন্যান্য খাতেও পড়বে। দেশের বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি এ সিদ্ধান্ত দেশের আইন ও বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তার অশনিসংকেত দেয়।
আমরা মনে করি, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে নতুন করে একটি ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিদ্যমান অস্পষ্টতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। এটি বাংলাদেশের টেলিকম খাতের প্রবৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধারের পথ তৈরি করবে। গ্রামীণফোন নতুন ড্রাইভ টেস্ট চালানোর জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, বিদ্যমান এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। কারণ একটি অপারেটরের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করা দেশের বিনিয়োগকারী, পুঁজিবাজার, গ্রাহক সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশ- কোনোটির অগ্রগতির জন্যই সঠিক বার্তা বহন করে না।
হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন: চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং বাংলাদেশে টেলিনর কান্ট্রি অফিসের সাবেক চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ
সম্প্রতি বাংলাদেশে নিজেদের যাত্রার ২৫ বছর উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। কীভাবে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি দেশের সর্বস্তরের মানুষের হাতের নাগালে এসেছে; গ্রামীণফোনের যাত্রা সে গল্পই বলে। গ্রামীণফোনের মাধ্যমে রূপান্তরের এ গল্প আমাদের ও শেয়ারহোল্ডারদের অনুপ্রাণিত করেছে বিনিয়োগ ও নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নে।
গ্রামীণফোন বর্তমানে বাংলাদেশের অর্ধেক সংখ্যকের বেশি মানুষের পছন্দের টেলিকম অপারেটর। একদিকে নিজেদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল কানেক্টিভিটির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ গ্রামীণফোনের ওপর নির্ভরশীল; অন্যদিকে দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশ এবং উদীয়মান সব প্রযুক্তির চাহিদা পূরণে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের প্রত্যাশিত মানসম্পন্ন সেবা প্রদানে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে চলেছে।
দুর্ভাগ্যবশত ২৯ জুন থেকে গ্রামীণফোনের নতুন সংযোগ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে আমাদের নেটওয়ার্কে 'কলড্রপ' সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাদের মূল সেবা প্রদান করতে পারছি না। নতুন ও রিটার্নিং গ্রাহকদের প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারছি না। দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের বিস্তৃত ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক অঞ্চলের মানুষ ডিজিটাল কানেক্টিভিটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ও হবেন।
আমরা জানি, প্রযুক্তি-বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহরে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবার অভিজ্ঞতাপ্রাপ্তিতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। একই সঙ্গে এ সমস্যা শুধু টেলিকম অপারেটর একা সমাধান করতে পারবে না। গ্রাহক যে সেবা লাভ করেন, তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্নিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন ফাইবার প্রতিষ্ঠান, টাওয়ার প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের দলগত প্রচেষ্টার ফল। পাশাপাশি এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। আর এসব চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে এবং সফলতার সঙ্গে এই ইকোসিস্টেমের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি ও মান বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।
এটা ঠিক, আমাদের নেটওয়ার্কে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পকেট রয়েছে, যেখানে সেবার মান উন্নত হওয়া প্রয়োজন। এসব পকেটে কলড্রপ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ডের কিছুটা উপরে রয়েছে, যা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়নের (আইটিইউ) বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এসব এলাকায় সেবার মানোন্নয়নে আমরা নিরলস ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেবার মানোন্নয়নে আমাদের গৃহীত নানা উদ্যোগ নিয়ে নিয়মিত নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসছি এবং গ্রামীণফোন টিম ও ম্যানেজমেন্ট একে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করছে।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমাদের ড্রাইভ টেস্টের ফল অনুযায়ী কলড্রপের হার ছিল শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ, যা টেলিকম লাইসেন্সের মানদণ্ডের (২ শতাংশ) চেয়ে অনেক কম। সংক্ষেপে বলতে গেলে, কার্যক্রম পরিচালনা ও সেবাদানে সব মানদণ্ড আমাদের লাইসেন্সের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা মেনে চলা হচ্ছে। সেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এমন পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার আলোচনার সুযোগ কিংবা বিদ্যমান টেলিকম লাইসেন্স ফ্রেমওয়ার্কের কোনো রেফারেন্স উল্লেখ ছাড়াই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। প্যারামিটার বা সময়সীমা সম্পর্কিত কোনো তথ্য ছাড়া এবং নেটওয়ার্ক পকেটের ফলে উদ্ভূত সেবার মান সংশ্নিষ্ট সমস্যাগুলোর সঠিক বিবেচনা ছাড়াই একতরফাভাবে কেবল একটি অপারেটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেওয়ার ফলে আরও জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
চলমান এই নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব আরও বড় পরিসরে লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত, এটি দেশের নতুন মোবাইল সেবা গ্রাহকদের পছন্দের স্বাধীনতাকে খর্ব করে তাঁদের ডিজিটাল সংযোগ সুবিধা গ্রহণের সুযোগ সীমিত করে ফেলেছে। দ্বিতীয়ত, এটি দেশের অনেক জায়গায় সম্ভাব্য নতুন গ্রাহকদের টেলিকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। কেননা, কিছু এলাকায় শুধু গ্রামীণফোনেরই আধুনিক নেটওয়ার্ক রয়েছে।
টানা ২৫ বছর প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকার পর সম্প্রতি দেশের টেলিকম খাতে এ ক্ষেত্রে ২ শতাংশ অবনমন ঘটেছে, যার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। আমরা মনে করি, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থনৈতিকভাবেও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ডিজিটাল বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই নিষেধাজ্ঞা থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রা প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি হবে, যা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের পথ হয়তো আরও দীর্ঘায়িত করবে। একতরফা এ নিষেধাজ্ঞা দেশের টেলিকম খাতের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করবে, যার প্রভাব টেলিকমের বাইরে অন্যান্য খাতেও পড়বে। দেশের বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি এ সিদ্ধান্ত দেশের আইন ও বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তার অশনিসংকেত দেয়।
আমরা মনে করি, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে নতুন করে একটি ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিদ্যমান অস্পষ্টতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। এটি বাংলাদেশের টেলিকম খাতের প্রবৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধারের পথ তৈরি করবে। গ্রামীণফোন নতুন ড্রাইভ টেস্ট চালানোর জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, বিদ্যমান এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। কারণ একটি অপারেটরের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করা দেশের বিনিয়োগকারী, পুঁজিবাজার, গ্রাহক সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশ- কোনোটির অগ্রগতির জন্যই সঠিক বার্তা বহন করে না।
হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন: চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং বাংলাদেশে টেলিনর কান্ট্রি অফিসের সাবেক চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ
মন্তব্য করুন