
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে সৃষ্ট শঙ্কার আপাত অবসান ঘটেছে। বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন দল- দুই পক্ষের সাজ সাজ রব অনেকের মনেই আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় কী ঘটবে- এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত ছিল না। দেশ আরেকটি রাজনৈতিক দুর্বিপাকে পড়তে যাচ্ছে কিনা- এ নিয়ে উৎকণ্ঠিত ছিলেন সবাই। সে রকম কিছু শেষ পর্যন্ত ঘটেনি। কিন্তু কর্মসূচি ঘিরে দুটি মূল্যবান প্রাণ ঝরে গেছে।
বিএনপি সারাদেশে ৯টি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হলেও ঢাকার কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়-শঙ্কা ছিল উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই। সমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপি ও সরকার কার্যত মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় একজন নিরীহ মানুষ নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে বিএনপি নিহত মকবুলকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ, খায়রুল কবীর খোকনসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে। যদিও গ্রেপ্তারের পরদিনই আমান উল্লাহ আমান জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসেন।
অন্যদিকে ওই রাতেই বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পরদিন গ্রেপ্তার দেখানো হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। দুই মির্জার গ্রেপ্তারের খবরে জনমনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়- সরকার বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশ করতে দেবে না। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় আকস্মিকভাবেই। ৯ ডিসেম্বর সকালে বিএনপি গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। আর সরকারও নানাদিক চিন্তা করে তাতে সম্মতি দেয়। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণেই যে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার 'দৃঢ় প্রত্যয়' ত্যাগ করতে বাধ্য হয়- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলাফল যা-ই হোক, এ সিদ্ধান্ত বিএনপিকে আরেকটি চরম বিরূপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছে। বিএনপি যদি নয়াপল্টন নিয়েই গোঁ ধরে বসে থাকত, তাহলে তারা ঢাকায় সমাবেশ করতে পারত না- এটা পরিস্কার।
বিএনপির এই সমাবেশটি 'বিভাগীয়' হলেও তা 'জাতীয়' আকার ধারণ করেছিল মূলত দলটির কিছু নেতার হম্বিতম্বি এবং শাসক দলের নেতাদের হুমকি-ধমকিতে। সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে শাসকপক্ষের উদ্যোগ আয়োজনে কোনো রাখঢাক ছিল না। যদিও অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো এই সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। তবে সমাবেশের আগের দিন থেকেই ঢাকার রাস্তাঘাট কার্যত যানবাহনশূন্য ছিল। তা ছাড়া রাস্তার মোড়ে মোড়ে যেভাবে শাসক দলের নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছিল, তাতে যে কোনো মুহূর্তে একটি অঘটন ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে উভয় পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় সে পরিস্থিতি এড়ানো গেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- বিএনপি এই সমাবেশ থেকে কী অর্জন করল? বিএনপি নেতাদের কথায় মনে হয়েছিল, এই সমাবেশ হয়তো দেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। কার্যত তা হয়নি। সমাবেশে নেতারা তাঁদের বক্তৃতায় যেসব কথা বলেছেন, তাতে নতুনত্ব নেই। এমনকি সেখানে তাঁরা যে ১০ দফা দাবির উল্লেখ করেছেন, তাও চর্বিতচর্বণ। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁরা এসব দাবি-দাওয়ার কথা বলে আসছিলেন।
জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সাত এমপির পদত্যাগের ঘোষণা সমাবেশকে নতুন মাত্রা দিয়েছিল অবশ্য। ইতোমধ্যে ওই সাত এমপির ছয়জনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে এবং গেজেটও হয়ে গেছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, এসব শূন্য আসনে উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না; ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যেই তা সম্পন্ন করবে। সুতরাং বিএনপি-এমপিদের পদত্যাগে জাতীয় সংসদের কার্যক্রমে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া হবে বলে মনে হয় না। বরং এ পদত্যাগ সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য সংখ্যা আরও সাতজন বৃদ্ধি করবে নিঃসন্দেহে; যদিও জাতীয় পার্টি তাতে ভাগ বসাতে পারে। ওদিকে বিএনপির কথা বলার জায়গা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ল।
এ প্রসঙ্গে এক নিবন্ধে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্নেষক সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেছেন, 'এ সংসদে দাঁড়িয়ে বিএনপির কোনো কোনো এমপি সরকার ও সংসদকে অবৈধ বলেছেন। এ কারণে তাঁদের কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছেন। দেশের মানুষের নজর তাঁদের দিকে ছিল। এর মানে, তাঁরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। সেই জায়গাটি তাঁরা নষ্ট করলেন।' (সমকাল, ১৩ নভেম্বর, ২০২২)।
অন্যদিকে সদ্য পদত্যাগী বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা মনে করেন, তাঁরা সঠিক কাজ করেছেন। একই দিনে সমকালে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তাঁরা সমাবেশে যে ১০ দফা দাবি দিয়েছেন, সেখানে সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ বাতিলের কথা রয়েছে। তাই সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবির দায়বদ্ধতা থেকেই তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে এ ধরনের পদত্যাগ ইতিহাসে নজিরবিহীন নয়। '৬৯-এ আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনের সময় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিপুলসংখ্যক বিডি মেম্বার এবং ইউপি চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছিলেন আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে। ১৯৮৭ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর এমপিরা পদত্যাগ করেছিলেন; যার পরিপ্রেক্ষিতে এরশাদ সংসদ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ১৯৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত সদস্যরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। যদিও তাঁদের পদত্যাগপত্র স্পিকার প্রায় এক বছর ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ওইসব পদত্যাগ তৎকালীন আন্দোলনে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল; শুধু সংখ্যাগত কারণেই এবার তা করবে বলে মনে হয় না। সমাবেশ থেকে তাঁরা দু'দিনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তাও গত ১০ বছরে কয়েক ডজনবার পালিত হয়েছে।
তাহলে এত হাঁকডাক, হম্বিতম্বির সমাবেশ শেষ পর্যন্ত 'পর্বতের মূষিক প্রসব' হিসেবেই কি বিবেচিত হবে?
মহিউদ্দিন খান মোহন: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্নেষক
বিএনপি সারাদেশে ৯টি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হলেও ঢাকার কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়-শঙ্কা ছিল উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই। সমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপি ও সরকার কার্যত মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় একজন নিরীহ মানুষ নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে বিএনপি নিহত মকবুলকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ, খায়রুল কবীর খোকনসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে। যদিও গ্রেপ্তারের পরদিনই আমান উল্লাহ আমান জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসেন।
অন্যদিকে ওই রাতেই বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পরদিন গ্রেপ্তার দেখানো হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। দুই মির্জার গ্রেপ্তারের খবরে জনমনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়- সরকার বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশ করতে দেবে না। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় আকস্মিকভাবেই। ৯ ডিসেম্বর সকালে বিএনপি গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। আর সরকারও নানাদিক চিন্তা করে তাতে সম্মতি দেয়। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণেই যে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার 'দৃঢ় প্রত্যয়' ত্যাগ করতে বাধ্য হয়- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলাফল যা-ই হোক, এ সিদ্ধান্ত বিএনপিকে আরেকটি চরম বিরূপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছে। বিএনপি যদি নয়াপল্টন নিয়েই গোঁ ধরে বসে থাকত, তাহলে তারা ঢাকায় সমাবেশ করতে পারত না- এটা পরিস্কার।
বিএনপির এই সমাবেশটি 'বিভাগীয়' হলেও তা 'জাতীয়' আকার ধারণ করেছিল মূলত দলটির কিছু নেতার হম্বিতম্বি এবং শাসক দলের নেতাদের হুমকি-ধমকিতে। সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে শাসকপক্ষের উদ্যোগ আয়োজনে কোনো রাখঢাক ছিল না। যদিও অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো এই সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। তবে সমাবেশের আগের দিন থেকেই ঢাকার রাস্তাঘাট কার্যত যানবাহনশূন্য ছিল। তা ছাড়া রাস্তার মোড়ে মোড়ে যেভাবে শাসক দলের নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছিল, তাতে যে কোনো মুহূর্তে একটি অঘটন ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে উভয় পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় সে পরিস্থিতি এড়ানো গেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- বিএনপি এই সমাবেশ থেকে কী অর্জন করল? বিএনপি নেতাদের কথায় মনে হয়েছিল, এই সমাবেশ হয়তো দেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। কার্যত তা হয়নি। সমাবেশে নেতারা তাঁদের বক্তৃতায় যেসব কথা বলেছেন, তাতে নতুনত্ব নেই। এমনকি সেখানে তাঁরা যে ১০ দফা দাবির উল্লেখ করেছেন, তাও চর্বিতচর্বণ। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁরা এসব দাবি-দাওয়ার কথা বলে আসছিলেন।
জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সাত এমপির পদত্যাগের ঘোষণা সমাবেশকে নতুন মাত্রা দিয়েছিল অবশ্য। ইতোমধ্যে ওই সাত এমপির ছয়জনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে এবং গেজেটও হয়ে গেছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, এসব শূন্য আসনে উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না; ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যেই তা সম্পন্ন করবে। সুতরাং বিএনপি-এমপিদের পদত্যাগে জাতীয় সংসদের কার্যক্রমে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া হবে বলে মনে হয় না। বরং এ পদত্যাগ সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য সংখ্যা আরও সাতজন বৃদ্ধি করবে নিঃসন্দেহে; যদিও জাতীয় পার্টি তাতে ভাগ বসাতে পারে। ওদিকে বিএনপির কথা বলার জায়গা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ল।
এ প্রসঙ্গে এক নিবন্ধে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্নেষক সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেছেন, 'এ সংসদে দাঁড়িয়ে বিএনপির কোনো কোনো এমপি সরকার ও সংসদকে অবৈধ বলেছেন। এ কারণে তাঁদের কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছেন। দেশের মানুষের নজর তাঁদের দিকে ছিল। এর মানে, তাঁরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। সেই জায়গাটি তাঁরা নষ্ট করলেন।' (সমকাল, ১৩ নভেম্বর, ২০২২)।
অন্যদিকে সদ্য পদত্যাগী বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা মনে করেন, তাঁরা সঠিক কাজ করেছেন। একই দিনে সমকালে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তাঁরা সমাবেশে যে ১০ দফা দাবি দিয়েছেন, সেখানে সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ বাতিলের কথা রয়েছে। তাই সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবির দায়বদ্ধতা থেকেই তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে এ ধরনের পদত্যাগ ইতিহাসে নজিরবিহীন নয়। '৬৯-এ আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনের সময় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিপুলসংখ্যক বিডি মেম্বার এবং ইউপি চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছিলেন আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে। ১৯৮৭ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর এমপিরা পদত্যাগ করেছিলেন; যার পরিপ্রেক্ষিতে এরশাদ সংসদ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ১৯৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত সদস্যরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। যদিও তাঁদের পদত্যাগপত্র স্পিকার প্রায় এক বছর ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ওইসব পদত্যাগ তৎকালীন আন্দোলনে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল; শুধু সংখ্যাগত কারণেই এবার তা করবে বলে মনে হয় না। সমাবেশ থেকে তাঁরা দু'দিনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তাও গত ১০ বছরে কয়েক ডজনবার পালিত হয়েছে।
তাহলে এত হাঁকডাক, হম্বিতম্বির সমাবেশ শেষ পর্যন্ত 'পর্বতের মূষিক প্রসব' হিসেবেই কি বিবেচিত হবে?
মহিউদ্দিন খান মোহন: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্নেষক
মন্তব্য করুন