বিদেশি প্রেসক্রিপশনে দেশের রাজনীতি বদলাবে না
সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইফতেখারুল ইসলাম
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪ | ০৪:১৬ | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪ | ০৯:৩০
শিক্ষাবিদ, লেখক ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে চার দশক শিক্ষকতা করেছেন। ওই বিভাগ থেকেই ১৯৬৫ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৬ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ– মুক্তিসংগ্রাম, কালের যাত্রার ধ্বনি, নৈতিক চেতনা: ধর্ম ও আদর্শ, উনিশ শতকের মধ্যশ্রেণি ও বাংলা সাহিত্য। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৪৪ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
সমকাল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগেই শক্তি অনেক বাড়িয়ে ফেলেছে; এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আরও বাড়ছে। আর সংসদে এমন কোনো বিরোধী দল নেই, যারা শক্তিশালী ভূমিকা নিতে পারবে, দেশটাকে ভালোর দিকে নিতে চেষ্টা করবে। এ রকম চিন্তা-চেতনা দেখি না।
সমকাল: সংসদের বাইরে রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলগুলোর তৎপরতা কেমন দেখছেন?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: আমি মনে করি, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়েই ওঠেনি। মাঝখানে কিছু নির্বাচন করেছে; ভালোও করেছিল। জাতীয় পার্টিও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। বামপন্থি দলগুলোর অবস্থা আগে যা ছিল, এখন তার চেয়েও খারাপ। তবে বামপন্থি দলগুলো আগের মতো অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ভালোভাবেই প্রতিবাদ করে। কিন্তু জাতি, রাষ্ট্র, জনজীবনের উন্নতির জন্য বক্তব্য কোনো দল থেকেই আমরা পাই না। এই হলো বাস্তবতা।
সমকাল: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি শুধু নির্বাচন বর্জন করেনি; এখনও দাবিতে অটল আছে বলছে। এটা বর্তমান সরকারের সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা যতটুকু ছিল, সেটুকুও ক্রমাগত নির্বাচন বর্জন করে হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। আর নতুন ধারার রাজনীতি নিয়ে গড়ে ওঠার জন্য যে চিন্তাভাবনা দরকার, সেটাও নেই। বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে, এটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য হওয়া উচিত নয়। রাজনীতিবিদরা দেশ শাসন করবেন, পরিচালনা করবেন। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো অরাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের চেষ্টা সফল হতে পারে না। অন্যান্য ক্ষেত্রেও রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এটা তখনই সম্ভব, যখন রাজনীতিবিদরা জাতীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন, সর্বজনীন কল্যাণের চেষ্টা করবেন।
সমকাল: এখন তাহলে বিএনপি কী করবে?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: বিএনপি যদি তাদের চিন্তার পুনর্মূল্যায়ন করে; রাজনৈতিক দলের কী করা দরকার, রাজনীতি কী আর কী নয়– এগুলো ভেবে জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কর্মসূচি নিয়ে যদি তারা অগ্রসর হয়, তাহলে তাদের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু রাতারাতি ভালো করে ফেলবে, তেমন ভাবা যায় না। আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এখনও সাড়ে চার বছরের বেশি সময় আছে। এর মধ্যে যদি তারা তাদের সংকল্প, আদর্শ ও পরিকল্পনা, কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে প্রচার করে এবং তারা সমর্থন পায়, তাহলেই বিএনপি সফল রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভালোও করতে পারে।
সমকাল: জাতীয় পার্টির সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: জাতীয় পার্টিও নির্বাচনের পর বিভক্তিকর অবস্থায় আছে। তবে জি এম কাদেরের ধারাটাই টিকবে; রওশন এরশাদের ধারা টিকবে বলে মনে হয় না। কিন্তু ডিস্টার্বিং এলিমেন্ট বা মূলধারার জাতীয় পার্টির জন্য অস্বস্তিকর শক্তি হিসেবে রওশনের ধারাটি থাকবে।
সমকাল: সরকারের বাইরে; রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: আওয়ামী লীগের এখনকার সংকট নেতৃত্বের সংকট। শেখ হাসিনার পর কে নেতৃত্ব দেবেন, সেটা নির্ধারিত নেই। নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও স্পষ্ট কাঠামো নেই। তাঁর পরে যারা আছেন, সবাই মানবে বলে মনে হয় না। আর শেখ হাসিনাও দল গঠনের প্রশ্নটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ যদি উন্নত চিন্তা-চেতনা নিয়ে দল গঠনে মনোযোগী হয়, তাহলে দলটির কাঠামোগত পরিস্থিতি ভালোর দিকে যেতে পারে।
সমকাল: তার মানে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আপনি বর্তমান রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তনের আভাস দেখছেন না?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: না, দেখছি না। আমাদের আগেকার রাজনৈতিক অভ্যাস অনুযায়ী, সরকার উৎখাতের জন্য আন্দোলন করা হয়। এখন সেই আন্দোলন সামনে সফল হবে না। জনগণ যদি প্রকৃতপক্ষে সমর্থন দেয়, তাহলে সেটা সম্ভব হতো। কিন্তু জনগণের মধ্যেও রাজনীতির প্রতি কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই; রাজনীতিবিদদের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীতে এখন ভাত-কাপড়ের অভাব একেবারেই কমে গেছে। একটু ভালোভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করলে ভাত-কাপড়ের অভাব থাকবে না। সবাই খেয়ে-পরে সম্মানজনক অবস্থায় চলতে পারে। তার জন্য যে বিজ্ঞানসম্মত রাজনৈতিক চিন্তা দরকার– এ ধরনের রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ পাচ্ছে না।
সমকাল: বিদেশি বিভিন্ন শক্তি আমাদের রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য যেসব পরামর্শ দেয়, সেসবের প্রতি কি জনগণের আস্থা রয়েছে?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: আসলে আমাদের রাষ্ট্র এখনও স্বাধীন হয়ে ওঠেনি। এবারের নির্বাচনের আগে এবং পরেও বিদেশি শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য বিভিন্ন বিবৃতি দিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে শুভকর রাজনীতির কোনো লক্ষণ আমি দেখি না। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতেও সমস্যা আছে, সংকট আছে। তারাও সুষ্ঠু অবস্থায় নেই। পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্রগুলো এখনও শান্ত; তুলনামূলক রাজনৈতিক দিক থেকে ভালো আছে। ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বিদেশি শক্তিগুলোর কাছে বাংলাদেশ, বঙ্গোপসাগর গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে টেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে এত গুরুত্ব দিচ্ছে। এ সবকিছু তাদের নিজেদের স্বার্থে করছে। বিদেশি প্রেসিক্রিপশনে আমাদের রাজনীতি এগিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখি না। ক্ষমতাসীন বা বিরোধী– সব দলকেই বাংলাদেশের নিজস্ব রাজনীতি করতে হবে।
সমকাল: বিভিন্ন উন্নত দেশের টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে আমরা শিখব না?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: একটা সহজ কথা– আমরা রাজনৈতিক সংঘাত চাই না। সংঘাত, সংঘর্ষে মানুষ মারা যাক, তা চাই না। শক্তি প্রয়োগ কিংবা জবরদস্তি করে কোনো দল বা রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় আসুক, সেটা কারও কাম্য নয়। আমরা চাই বাংলাদেশ একটি সর্বজনীন রাষ্ট্র হোক। অর্থাৎ সবার কল্যাণে আইনকানুন, বিধিবিধান হোক। প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ভালো ভূমিকা পালন করুক। কিন্তু বিকল্প হিসেবে এখনও আগের মতো অন্ধভাবে আমেরিকাকে মেনে চলা ঠিক নয়। বাংলাদেশকে নিজেদের বাস্তবতায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। লোভ কিংবা ভয়ে অন্য কোনো শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করা অনুচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেকটা নিজের পথে থাকছে। সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনের পেছনে সব দলের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে; সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যে না থাকে, তাহলে বাংলাদেশ ভালোর দিকে যাবে।
সমকাল: এ ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীরা কী ভূমিকা পালন করতে পারেন?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: বুদ্ধিজীবীদের রাজনৈতিক চরিত্র রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক চরিত্রের চেয়েও উন্নত হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা না হয়ে উল্টো হচ্ছে। বুদ্ধিজীবীদের রাজনৈতিক আনুগত্যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। কারণ এসব অনুরাগ-বিরাগের পেছনে নানা যোগ-বিয়োগের অঙ্ক থাকে। আশির দশকে একটা কথা খুব বলা হতো– বাংলাদেশ বিরাজনীতিকীকরণের মধ্যে পড়ে গেছে। বিরাজনীতিকীকরণ, নিরাজনীতিকীকরণ শব্দগুলো বেশ আলোচিত হয়েছিল। নব্বই দশকে দেখা গেল, সেই বুদ্ধিজীবীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যোগ দিচ্ছেন। আবার একুশ শতকে এসে দেখা গেল, বুদ্ধিজীবীরা কোনো রাখঢাক ছাড়াই রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করছেন। সেটা যেমন আওয়ামীপন্থিদের জন্য, তেমনি বিএনপিপন্থিদের জন্যও সমান সত্য। বুদ্ধিজীবী সমাজের এ রকম অবস্থান রাজনীতিকে আরও সংকটাপন্ন করে তুলেছে। এ কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো অরাজনৈতিক ব্যবস্থা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য কল্যাণকর নয়।
সমকাল: বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। নির্বাচনের পর আবার বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এদিকে ভারতের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনীতি কূটনৈতিক বলয় থেকে কতটা বের হতে পারবে?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ভালো অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি যে অবস্থায় আছে, এটাকে জোটনিরপেক্ষ বলা যায়। মওলানা ভাসানী যে ধরনের পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন, অনেকটা সে রকম পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন– পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলা, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। এই অবস্থানে শেখ হাসিনা আছেন। কিন্তু নির্বাচনের পরও যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন নতুন লোক আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়াক; রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াক। দেশের মধ্যে এ ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ ক্ষতিকর। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতেও আজকের বিএনপির মতো বিদেশি শক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিবিদদের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলা আমি একান্তই অনুচিত মনে করি।
সমকাল: বাংলাদেশের রাজনীতিকে পারিবারিক বলয় থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আদৌ আছে কি?
আবুল কাসেম ফজলুল হক: যে ধারায় রাজনীতি চলছে, সে ধারায় রাজনীতির পরিবর্তন হবে না। উত্তরাধিকারের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রবিরোধী। ব্রিটেনে আমরা লক্ষ্য করি, বাবার পর কখনও কখনও সন্তান রাজনীতিতে আসছে। তৃতীয়, চতুর্থ ধাপে আর আসেনি। যারা এভাবে উত্তরাধিকারসূত্রে এসেছিল, তাদের ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি নিয়ে জ্ঞানও ভালো ছিল। ভারতে জওহরলাল নেহরুর পরিবার থেকে ইন্দিরা গান্ধী এসেছিলেন। ইন্দিরার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল, শিক্ষাদীক্ষা ছিল। তবে একটা পর্যায়ে কংগ্রেসই দুর্বল হয়ে পড়ে। যে নরেন্দ্র মোদিরা অস্পৃশ্য বলে উপেক্ষিত ছিল, তারাই ক্ষমতায় বসেছে। আমার ধারণা, ভারতে এই ধারাটা চলতে থাকবে। কারণ সুদীর্ঘ দিনের গণতান্ত্রিক চর্চায় সেখানকার সমাজের ভেতরে এসব পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু পরিবারতন্ত্র বাংলাদেশের রাজনীতির গভীরে চলে গেছে। কেবল কেন্দ্রীয়ভাবে নয়, স্থানীয় পর্যায়েও আপনি এ ধারা দেখবেন। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখলে এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আবুল কাসেম ফজলুল হক: সমকালকেও ধন্যবাদ।