- মতামত
- শিক্ষক বদলিতে সংস্কার চাই
শিক্ষক বদলিতে সংস্কার চাই
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহুল প্রতীক্ষিত অনলাইন বদলি প্রথমবারের মতো চালু হয় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এবং পরবর্তীকালে বদলি আদেশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পদায়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো ৩ জানুয়ারি পুনরায় অনলাইন শিক্ষক বদলির আবেদন চালু হয়। দীর্ঘদিন বদলিবঞ্চিত ও প্রথমবার অনলাইনে বদলি হতে যাঁরা পারেননি, সেসব শিক্ষক অনেক আশা নিয়ে বদলির অপেক্ষায় আছেন। অনেক শিক্ষক প্রথম থেকেই দূরবর্তী বিদ্যালয়ে পদায়ন হওয়ায় শারীরিক ও মানসিকভাবে দীর্ঘদিন কষ্ট করছেন।
আবার নারী শিক্ষকদের বিয়ের কারণে স্বামীর কর্মস্থল কিংবা স্বামীর বাড়ি ভিন্ন উপজেলা, জেলা বা বিভাগে হওয়ায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় বদলির অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। নারী শিক্ষকদের অনেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার ও চাকরিতে বিভিন্ন টানাপোড়েনের মধ্যে আছেন। আবার অনেক শিক্ষকের চাকরি ছেড়ে দেওয়া ও সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো অনলাইন বদলি চালু হওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে। কিন্তু বদলি নীতিমালায় ভিন্ন উপজেলা, জেলা কিংবা বিভাগীয় বদলির সুযোগ রাখা হয়নি। নীতিমালায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় বদলি সংযোজন করলে শিক্ষকদের বদলি সহজ এবং ফলপ্রসূ হতো।
অনেক দূরে পোস্টিং পাওয়া শিক্ষকরা সহজে বদলি হতে পারলে তাঁদের শ্রম, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে এবং দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হবে। অনেক শিক্ষক বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন দূরের স্কুলে। এখন তাঁরা বদলির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। নারী শিক্ষকরা তাঁদের পছন্দের স্কুলে সহজে বদলি হতে পারলে চাকরি ও সংসার নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত নিবেদন, সব ধরনের বদলি চালু করে শিক্ষকদের মানসিক ও শারীরিক কষ্ট লাঘব করুন। সময়ের প্রয়োজনে অনেক নীতিমালা পরিবর্তন ও সংশোধন করা হচ্ছে। যদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাহলে অনেক ভুক্তভোগী উপকৃত হবেন।
ফুলগাজী, ফেনী
মন্তব্য করুন