গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোর হাফিজুর মোল্লা বাকুর (১৬) চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। আবেদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো.হারুন অর রশিদ বাকুর চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।

কিশোর হাফিজুর মোল্লা বাকু টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের আব্দুল আলী মোল্লার ছেলে। সোমবার উপ-পরিচালক মো.হারুন অর রশিদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামে গিয়ে বাকুর হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি বাকুর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।

সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজসেবার ইউনিট রয়েছে। আমাদের এই ইউনিটের মাধ্যমে বাকুকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। আশা করি, এখান থেকে চিকিৎসা পেয়ে সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে। চিকিৎসা গ্রহণের প্রাথমিক খরচ হিসেবে তাকে আমরা ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছি। অনুদান পাওয়ার আবেদন করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা তাকে এই টাকা দিয়েছি।

বাকুর মা রুহিয়া বেগম জানান, তার ছেলে জন্মের পর থেকে সুস্থ জীবন যাপন করছিল। বয়স ১০ বছর হওয়ার পর সে এই রোগে আক্রান্ত হয়। স্কুলে যেতে পারেনি। এখন ভ্যান চালিয়ে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করে। ঢাকায় তাকে ডাক্তার দেখানো হলে চিকিৎসক ২ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তারা ছেলের চিকিৎসা করাতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তর তার ছেলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে। সেখানে বাকুকে ভর্তি করাবেন বলেও জানান তিনি।

বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোর বাকু বলে, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে পড়াশুনা করতে পারিনি। মাঝে মাঝে জ্বর হয়। পায়ে ব্যথা হয়। কাজ করতে অসুবিধা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর আমার কথা জানতে পেরে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা আমার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে দিতে চেয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে আমি সুস্থ জীবনে ফিরতে চাই। এই সহযোগিতা করার জন্য আমি সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।