গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ছিল হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ। কিন্তু এ পর্যন্ত বাংলাদেশের লক্ষাধিক কোটার বিপরীতে ৩৪ হাজারের মতো হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন। তাই ধর্ম মন্ত্রণালয় নিবন্ধনের সময়সীমা ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অতীতের তুলনায় খরচ বৃদ্ধির কারণে অনেকেই এ বছর হজে যেতে পারছেন না, যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি সমকালে ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে লাগবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার’ শীর্ষক সংবাদটি পড়েছি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালন করতে পারবেন। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। অর্থাৎ এটিই সর্বনিম্ন প্যাকেজ। তবে এটা তিন বছর আগের খরচের প্রায় দ্বিগুণ, গত বছরের তুলনায় হজ পালনের খরচ ২৯ শতাংশ বা প্রায় দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।

ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের একটি হজ। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। মাত্রাতিরিক্ত খরচের কারণে হজযাত্রা এখন এ দেশের মুসলমানদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে খরচ বাড়তে থাকলে সামনের বছরে এসে হজযাত্রী সংকট দেখা দেবে। তাই বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাজ করা উচিত। আশপাশের দেশের তুলনায় বাংলাদেশে হজ প্যাকেজে ব্যয়বহুলের যৌক্তিকতা বোঝা যাচ্ছে না। মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে আমাদের হজযাত্রা সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়া উচিত। এ বিষয়ে ঢাকা-রিয়াদ আলোচনায় বসতে পারে। সৌদি সরকার নিশ্চয় আমাদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় নেবে।

ঢাকা