- মতামত
- সঠিক পথে হাঁটতে হবে
সঠিক পথে হাঁটতে হবে

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ওপর যে অমানবিক নির্যাতন ও সম্মানহানির ঘটনা ঘটেছে, এর নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন গত ২২ ফেব্রুয়ারি সমকালে ‘ফুলপরীর দেখানো পথ’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি নির্যাতিতদের রুখে দাঁড়াতে প্রেরণা দিয়েছেন। সময়োপযোগী মতামতের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।
গণরুমে নিয়ে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, অকথ্য ভাষায় গাোগাল করা হয়। নির্যাতিত শিক্ষার্থী এমন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে চিৎকার করলে মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। এই যে একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যা ঘটেছে কিংবা আগামীতেও ঘটার আশঙ্কা– এসবের দায় কে নেবে? একজন শিক্ষার্থী যখন তাঁর পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান, নিঃসন্দেহে বলতে পারি, হাজারো স্বপ্ন নিয়ে নতুন ক্যাম্পাসে পা রাখেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন যখন গণরুমের বর্বর নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়, তখনই সেই শিক্ষার্থী তাঁর স্বপ্নময় জগৎ থেকে ছিটকে পড়েন।
গণরুম আমাদের আসলে কী শিক্ষা দেয়? বড় ভাইবোন দ্বারা ছোট ভাইবোনের রাতভর নির্যাতনের শিকার হওয়া? প্রেক্ষাপট দেখলে গণরুম আসলে আমাদের এটিই শিক্ষা দিচ্ছে বা দেয়। যদি গণরুমে নিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে স্বপ্ন দেখানো হতো, তাহলে এটি আমাদের অন্য কিছু শিক্ষা দিত। গণরুমটা অন্যরকম হতে পারত। এই ধরুন একজন স্বাপ্নিক শিক্ষার্থীকে একটি গণরুমে নিয়ে নির্যাতনের বিপরীতে তাঁকে আরও স্বাপ্নিক করে তোলা হলে গণরুমের প্রতি আমাদের যে তিক্ত অনুভূতি, তা অনেকাংশে হ্রাস পেত। নির্যাতন আগে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। ফুলপরীর মতো সবার খবর সংবাদমাধ্যমে আসেনি। ফুলপরী সত্যিই আমাদের পথ দেখিয়েছেন। প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছেন।
শিক্ষার্থী, হেনরি ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্স টেকনোলজি, রাজশাহী
মন্তব্য করুন