- মতামত
- মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালকসহ তিন ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ঋণখেলাপি মামলা
মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালকসহ তিন ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

চট্টগ্রামে ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৭৫ কোটি টাকার জামানতবিহীন খেলাপি ঋণ মামলায় তিন ব্যবসায়ীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। রোববার চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুজাহিদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীরা হলেন- মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাদিকা আফরিন দীপ্তি, আশিকুর রহমান লস্কর। তারা চট্টগ্রাম নগরের খুলশী হিলের ২ নম্বর রোডের ৬১/সি বাসার বাসিন্দা। ঋণখেলাপিদের মধ্যে আশিকুর রহমান লস্কর মেঘনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক একজন পরিচালক। আদালতের ব্যঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, ১৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৭ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখা একটি মামলা করে। ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আবেদন করলে ১২ শতাংশ সুদে এক বছরের জন্য ১০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করা হয়। শর্ত অনুযায়ী বিবাদীরা কোনো টাকা পরিশোধ না করলেও দুই মাসের মধ্যে আরও ১৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বিরতণ করা হয়। মঞ্জুরি পত্রের শর্ত মোতাবেক ৬০ দিনের মধ্যে বিবাদীরা প্রস্তাবিত রাজউকের প্লট ও মেঘনা ব্যাংকের ২০ কোটি টাকার শেয়ার গৃহীত ঋণের বিপরীতে দায়বদ্ধ করেননি। তারপরও ব্যাংক ২০২২ সালের ১১ মার্চের পূর্বে বিবাদীদের কাছ থেকে ঋণের টাকা দাবি করে কোনো নোটিশ দেয়নি।
ব্যাংক প্রচলিত ব্যাংকিং নিয়ম কানুন লঙ্ঘন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিতরণ করেছে। বিতরণ করা ঋণ আদায়ে যথেষ্ট অনীহা প্রদর্শন করেছে। বিপুল পরিমাণ ঋণের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটি ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্ত করা প্রয়োজন।
ঋণের বিপরীতে কোনো আমানত না থাকায় বিবাদীদের দেশত্যাগে নিষেধজ্ঞা ও পাসপোর্ট আদালতে কেন জমা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা ২০ মার্চ পাসপোর্টসহ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন