নারী কর্মীকে অফিসে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুরে গাক এনজিওর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়াসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে নির্যাতনের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী এনজিওর একজন কর্মকর্তা। একই অফিসের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মনির হোসেন ওই নারীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এ অনৈতিক কাজে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান তাকে সহযোগিতা করেন। গত বুধবার ওই নারীর কাছ থেকে মামলা না করার শর্তে সাদা কাগজে তার সাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন জিল্লুর রহমান। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই নারী রাজধানীর পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নেতারা মনে করেন, এনজিওর মত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানমূলক জায়গায় একই অফিসে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্তৃক একজন নারী-কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। সম্প্রতি নারী ও কন্যা-শিশুরা ঘরে বাইরে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণসহ বিভিন্ন ধরণের সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা তাদের কর্মজীবন, স্বাধীন চলাচল, নিরাপত্তা ও অগ্রযাত্রার পথে বাঁধা সৃষ্টি করছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।