- মতামত
- দশম গ্রেডে বেতন দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের
দশম গ্রেডে বেতন দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের

দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, নবম পে কমিশন গঠন, অন্তর্বর্তীকালীন ৩০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রদানসহ কয়েক দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব দাবি তুলে ধরে।
তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, কয়েকটি ধারা পরিবর্তন করে ২০২২-এর নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন আপগ্রেড করা, পদোন্নতি দেওয়া, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা।
দাবিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শনিবার সংসদ সদস্যদের কাছে লিখিত আবেদন এবং ৭ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, এই সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৭ হাজার ৬৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকদের ও ২০০৯ সাল থেকে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ আছে। তাই ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি বাতিল করে নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষকের পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন