গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদ্যপ্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সভা হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজীবন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণমানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। এ লড়াইয়ে অনেক সময় তিনি একা হয়ে গেলেও হাল ছাড়েননি। তিনি ছিলেন দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক। তিনি যে কাজই করেছেন, সেটা দেশের জন্য, মানুষের জন্য করেছেন। তিনি রাজনীতি করতেন না। তবে তাঁর বক্তব্য রাজনীতিকে আন্দোলিত করত। তিনি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করতেন না।

শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সভাটি আয়োজন করে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী মওলানা ভাসানীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর একক প্রচেষ্টায় ওষুধ নীতি প্রণীত হয়। যার ফলে বহজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয় এবং বর্তমানে দেশীয় কোম্পানিগুলো বিদেশে ওষুধ রপ্তানি করে কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। কিন্তু এখন কেউ আর সাধারণের কথা ভাবে না, দফায় দফায় ওষুধের দাম বাড়াতেও কারও বিবেকে বাধে না।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট মো. নাসিরের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী বিশিষ্ট নারী সংগঠক শিরিন হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান-সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক ত্রৈমাসিক অনীক সম্পাদক ড. মুস্তাফা মজিদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা। মুখ্য আলোচক ছিলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক রাহমান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য দেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক শামীমা সিকদার দীনা। আরও বক্তব্য দেন জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মো. শাহজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী, জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসুর রহমান, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি বাংলাদেশের সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।