নির্বাচন অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, সংসদে রওশন এরশাদ

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তন হতে হবে। সে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ। অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। সে রকম একটি নির্বাচন হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানালে ভালো হবে।

দশম জাতীয় সংসদ ও চলতি একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি। রওশন এরশাদ বলেন, অতীতের যে কোনো সংসদের তুলনায় দশম ও একাদশ সংসদ অনেক কার্যকর। বিরোধী দল সংসদে শুধু সরকারের বিরোধিতা করেনি। সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা এবং মন্দ কাজের সমালোচনা করেছে।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সকল রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সংসদকে প্রাণবন্ত, অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর করতে জাতীয় পার্টি সংসদীয় দল সবসময় আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যগণ প্রত্যেক অধিবেশনে যোগদান, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, গঠনমূলক সমালোচনাসহ বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে।

রওশন এরশাদ বলেন, ভূ-রাজনীতির খেলায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্যও বিশ্বের দেশগুলো সচেষ্ট রয়েছে। ইস্যুগুলো এতটাই স্পর্শকাতর যে, দেশের স্বার্থ রক্ষায় জাতীয় ঐক্যমত না থাকলে বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যমত না থাকলে একেক রাজনৈতিক দল একেক রাষ্ট্রকে সমর্থন করবে। এটা আমাদের সবার জন্য বিপদ ডেকে আনবে।

তিনি বলেন, ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিশ্বব্যাপী ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। প্রতিযোগিতার এই ধারাটা তীব্র গতিসম্পন্ন। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক খেলায় খেলতে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই। এই বড় খেলায় অংশ না নেওয়াই আমাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তা না হলে আমাদের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, উন্নয়ন হলেও সবাই এর ভাগীদার হতে পারেনি। কোনো দেশে বৈষম্য যদি বহুদিন ধরে চলে, তখন সেসব দেশে শুধু উন্নয়নই নয়, সামাজিক কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। দেশে আঞ্চলিক বৈষম্য বেড়ে চলেছে। উন্নয়নের সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ছে।