আন্দোলন আরও জনসম্পৃক্ত করবে বিএনপি
ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০১:৫৩ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০১:৫৩
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরও জনসম্পৃক্ত ও বেগবান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়।
ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির বৈঠকে বলা হয়, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার পুলিশ দ্বারা হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারের দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং এবং জ্বালানির অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে জনগণ যখন সোচ্চার হয়ে উঠেছে, তখনই সরকারের ঘৃণিত খুনির চেহারা প্রকট হয়ে উঠছে।
সব দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষকে এবং সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অনির্বাচিত, কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সরকারকে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি চলমান আন্দোলনকে আরও জনসম্পৃক্ত এবং বেগবান করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে।
কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠকে আরও বলা হয়, একদিকে লোডশেডিংয়ের ফলে সেচ ব্যাহত হবে, অন্যদিকে ইউরিয়া সারের দাম বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি উৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অবিলম্বে ইউরিয়া সারের মূল্য পূর্বাবস্থায় রাখার দাবি জানানো হয় বৈঠকে।
বৈঠকে অসহনীয় লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপি ঘোষিত জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচিতে গত ৩১ জুলাই পুলিশের অতর্কিত হামলা ও গুলিবর্ষণে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম মারা যান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ, ভোলা জেলার সভাপতি গোলাম নদী আলমগীর, ভোলা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম, নজরুল ইসলাম, স্বেচ্চাসেবক দলের মুনীরসহ প্রায় চার শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করা হয়।
ভোলা জেলার সভাপতিসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দাযের করায় তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা প্রকাশ করা হয়।
সমাবেশ ও মিছিল করা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে বৈঠকে আরও বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ একদিকে সংবিধান এবং অন্যদিকে হত্যা করে গুরুতরভাবে মানবাধিকার লংঘন করেছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।