ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

হামলায় আহত বিএনপির সাবেক এমপি শাহজাহান খানের মৃত্যু

হামলায় আহত বিএনপির সাবেক এমপি শাহজাহান খানের মৃত্যু

শাহজাহান খান। ছবি- সংগৃহীত।

সমকাল প্রতিনিধি ও পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৯:১৯ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৯:১৯

সন্ত্রাসী হামলায় আহত পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান মারা গেছেন।

আজ সোমবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডি ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বরিশালে বিএনপির সমাবেশে আসার পথে তার ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

শাহজাহান খান শহরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গত ৫ নভেম্বর বরিশালে অনুষ্ঠেয় বিএনপির গণসমাবেশ যোগ দিতে যাওয়ার আগের দিন সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে পটুয়াখালী থেকে রওয়ানা দেন তিনি। পথিমধ্যে সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের গাবুয়া নামক স্থানে লাঠিসোটা নিয়ে দুর্বৃত্তরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং শাহজাহান খান ও তাঁর বহরে থাকা কর্মীদের মারধর করে। এ সময় বহনকারী মোটরসাইকেলগুলোও ভাংচুর করে। বিএনপির পক্ষ থেকে ওই হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ি করেছে। সেই হামলার পর থেকে গুরুতর আহত শাহজাহান খান স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ২০ নভেম্বর তাকে ঢাকায় আনা হয়।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, বরিশালে গণসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শাহাজাহান খানের উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং তাকে বেদম মারধর করা হয়। এতে তাঁর কিডনি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

শাহজাহান খানের ছেলে শিপলু খান বলেন, 'আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা তাকে কিভাবে বেদম মারধর ও নির্যাতন করলো। আমরা এ সরকারের আমলে মামলা করে ন্যায় বিচার পাবো না এবং সরকার ন্যায় বিচার করার ক্ষমতা রাখেও না। তাই এ সরকারের আমলে আমরা মামলা করবো না।'

আজ বাদ জোহর ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত এবং কফিনে ফুল দিয়ে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আগামীকাল মঙ্গলবার কয়েক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে তাঁর।

এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান খানসহ ওই দলের উপর কোনো হামলার সঙ্গে আওয়ামীলীগের সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে হচ্ছে। সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয় বিএনপি থেকে কিংবা শাহজাহান খানের পরিবার থেকে আগে-পরে কখনই কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন

×