ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির ২৭ দফা যুদ্ধাপরাধীদের আরেক দফা স্বীকৃতির দলিল: আমু

বিএনপির ২৭ দফা যুদ্ধাপরাধীদের আরেক দফা স্বীকৃতির দলিল: আমু

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২১:০৬ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২১:০৬

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপির ২৭ দফার 'রেইনবো নেশন' ও 'ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন' গঠনের লক্ষ্য একই।

তিনি বলেন, দালাল আইন বাতিলের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি এবং সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এবার তার দল বিএনপি 'রেইনবো নেশন'-এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি, খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের আরেক দফা রাষ্ট্র ও সমাজের স্বীকৃতি দিচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের নিজ বাড়িতে ১৪ দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আমু বলেন, ১৪ দল কখনও একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনিদের সঙ্গে রিকনসিলিয়েশনের নামে 'রেইনবো নেশন'-এর সুচতুর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। এ দুটি প্রশ্ন বহু আগেই মিটমাট হয়ে গেছে। বিএনপি ২৭ দফায় বর্তমান সরকারের মৌলিক সংশোধনের কথা বলেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা আসলে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখল নিস্কণ্টক করতে চাইছে। বিএনপির এ রাজনীতি অতীতের মতো এবারও জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি আগে ১০ ও ১৪ দফা দিয়েছিল। ২৭ দফাও নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে ১৪ দলের মাথাব্যথা নেই। আমরা নিজেদের রাজনৈতিক ধারা- জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের বিপরীত অবস্থান নিয়ে মাঠে থাকব।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা যারা দেয়, তারা প্রগতির ধারার মধ্যে আছে বলে আমরা মনে করি না।' জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, "বিএনপির কথিত রাষ্ট্র মেরামতের 'রেইনবো নেশন' রাজাকার, জঙ্গি, জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের ঐক্যের কালো দলিল। এই কালো দলিল যারা সমর্থন করছে, তারা বিচ্যুত।"

সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দল নেতাদের মধ্যে কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, বাসদ আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, কামরুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি দাস, শাহে আলম মুরাদ, জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতা এজাজ আহম্মেদ মুক্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×