লুটপাট, ফ্যাসিবাদ, নৈরাজ্য থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এ পাচার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ডাকাতি ও পাচারকারীরা রাষ্ট্রীয় ডাকাত। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গণফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'একুশ মানে অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার' শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।

ড. কামাল বলেন, যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে, তাদের লক্ষ্য লুটপাট ও টাকা পাচার করা। তাই তারা অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার সাহস করে না। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি স্বৈরশাসকরা কখনও জনগণের ঐক্যের সামনে দাঁড়াতে পারে না। কারণ ঐক্যবদ্ধ হলে জনগণকে দাবিয়ে রাখা যায় না। এ জন্যই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তরুণ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই রাষ্ট্রকে আরো শক্তিশালী করা, জনগণের ঐক্যকে আরো সুসংগঠিত করা। জনগণ তাদের যে অধিকার স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে আদায় করেছে, সেটিকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। এজন্য পাড়ায়-মহল্লায়, গ্রামে-গঞ্জে এবং জাতীয় পর্যায়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

আলোচনা সভায় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়ীদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বখতিয়ার খিলজি ১৭ জন নিয়ে বঙ্গ জয় করতে পারলে আপনারা কেন পারবেন না? আপনাদের অধিকার আন্দোলনে সোচ্চার হতে হবে। হিংসা, বিদ্বেষ, রেষারেষি গণফোরামে থাকবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আর্থসামাজিক মুক্তির সঙ্গে কিন্তু সাংস্কৃতিক মুক্তির কথা বলেছিলেন। আজকে সাংস্কৃতিক মুক্তি দূরের কথা, অর্থনৈতিক মুক্তির আশাও অনেক দূরে। বরং সব শেষ হয়ে যাচ্ছে, সাংস্কৃতিক মুক্তি অপসংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, এবারের একুশের অঙ্গীকার হোক- দূর হও দুঃশাসন, দূর হও স্বৈরাচার।

গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।