- রাজনীতি
- দিল্লির বিচারপতি মুরলিধরের বদলি নিয়ে বিতর্ক
দিল্লির বিচারপতি মুরলিধরের বদলি নিয়ে বিতর্ক

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্য সরকার ও দিল্লি পুলিশের সমালোচনা করা বিচারপতি এস মুরলিধরের বদলি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে কয়েক দিন ধরে চলা দাঙ্গা প্রসঙ্গে ওই সমালোচনার পর বুধবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে তাকে বদলি করা হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সমালোচনার জন্য মুরলিধরকে বদলি করা হয়েছে বলে সমালোচনা শুরু হলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বদলির সিদ্ধান্ত সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মধ্যেই নেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য বিচারপতির অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইট করে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন একটি নিয়মমাফিক বদলির ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার জন্য। তিনি জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম তার বদলির প্রস্তাব দিয়েছিল।
এনডিটিভি বলছে, দিল্লি হাইকোর্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী বিচারপতি এস মুরলিধরের বদলির বিজ্ঞপ্তি বুধবার রাতে ইস্যু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম থেকে এটি সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি মুরলিধরকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হল।
তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বদলির জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়নি বিচারপতি এস মুরলিধরকে। যদিও সাধারণত এর জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়। এরপরই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
বুধবার বিচারপতি মুরলিধর বলেছিলেন, আমরা আর একটা ১৯৮৪ সালের মতো ঘটনা হতে দিতে পারি না দেশে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি সরকার-উভয়কেই নির্দেশ দেন দিল্লির হিংসা রদে একসঙ্গে কাজ করতে।
চার বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর, অভয় ভার্মা ও পরবেশ ভার্মার উস্কানিমূলক ভাষণের ভিডিওকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া পিটিশনের শুনানিতে বিচারপতি মুরলিধর ওই মন্তব্য করেছিলেন।
মন্তব্য করুন