করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে প্রাক প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল তা নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, দেশের অনেক বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু দিন ধরে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনার কথা বার বার বললেও সরকার শুধু জনগণকে আস্তস্থই করে গেছে, কাজের কাজ কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, ইতালী থেকে আগত দুই ভাইয়ের রোগ বিমানবন্দরে শনাক্ত হয়নি। দেশে ফেরার ৪ দিন পর যখন তাদের অবস্থার অবনতি হয় তারাই চিকিৎসায় উদ্যোগী হয়েছেন। তখন সরকার তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। তাদের একজনের স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল তাদের কোয়ারেন্টাইনে না নেওয়া সরকারের আরেকটি ব্যর্থতা। ৩ দিন পর সোমবার মাত্র ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়ার কথা জানা গেল।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, এখন পর্যন্ত সামান্য যে কয়েকটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর মান এবং আক্রান্তদের সুচিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন আছে। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে ওষুধ, যন্ত্রপাতি, ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়ার জরুরি দায়িত্ব সরকার পালন করতে পারেনি। ফলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে নিশ্চিতই দেশবাসী গণহারে অকাল মৃত্যুর শিকার হতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।