বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সব তথ্য বের করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর প্রতি  আহবান জানিয়েছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি। তিনি বলেছেন, খুনি আবদুল মাজেদ শুধু ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন, ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঢুকে জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যকাণ্ডের অন্যতম আসামি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সব তথ্য বের করতে হবে। 

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেছেন, করোনার মহাদুর্যোগের মধ্যেও একটি স্বস্তিদায়ক খবর ১৫ আগস্ট ও জেলহত্যায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাজেদ গ্রেফতার হয়েছে। এতে সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও খুশি। দীর্ঘ পাঁচ যুগ পর এই জঘন্য খুনি ও বিশ্বাসঘাতককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিচক্ষণতা ও সাহসের পরিচায় দিয়েছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। 

তিনি বলেন, খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের পূর্বে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বের করতে হবে কাদের নির্দেশে জেলখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল? এই খুনি কীভাবে এতদিন ভারতের কলকাতায় কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় আত্মগোপন করেছিল? সেই ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মেচন হওয়া দরকার। এটি ভালভাবে করা হলে বঙ্গবন্ধুর হত্যকাণ্ডের অন্য পলাতক খুনিদের খুঁজে বের করা সহজ হবে। 

১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, এটা জেনে বিস্মিত হয়েছি, এই খুনির সহধর্মিনী একজন চিকিৎসক। তাকে ও তার পরিবারকে সাবেক সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের আমলেই ক্যান্টনমেন্টের ভেতর একটি বাসা বরাদ্দ করা হয়েছিল। আজ নতুন করে প্রমাণ হলো, জিয়াউর রহমানই ছিলেন এই খুনিদের মূল পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা।