- রাজনীতি
- ঈদে গণপরিবহন খোলা রাখার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ ওয়ার্কার্স পার্টির
ঈদে গণপরিবহন খোলা রাখার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ ওয়ার্কার্স পার্টির

প্রতীকী ছবি
জাতীয় পরামর্শ কমিটির পরামর্শ উপেক্ষা করে ঈদে গণপরিবহন, রেল ও নৌযান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলেছে, এর ফলে করোনা সংক্রমণ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার ধারাকে বৃদ্ধি করবে। একই সঙ্গে ঈদের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ মূল শহরগুলোর ক্ষেত্রে সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটাবে।
শুক্রবার ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ, টেস্ট ও শনাক্তকরণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এলোমেলো হিসাব সংক্রমণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণকে কার্যত অসম্ভব করে তুলেছে। ইতিপূর্বে টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যে ফি ধার্য করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। ‘গুচ্ছ লকডাউনে’র যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটাও কার্যত বাস্তবায়ন হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারের খামখেয়ালিপনার ফলশ্রুতিতে তার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ ধরনের বক্তব্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। এর ফলে জনগণের জীবন কেবল নয়, যে অর্থনীতিকে সচল রাখার চেষ্টা নেওয়া হচ্ছে- সেটাই আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনগণের জানও যাবে, মালও যাবে।
বিবৃতিতে করোনা সংক্রমণ রোধে পাঁচ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে টেস্ট দৈনিক বিশ হাজারে উন্নীত করা, প্রতি জেলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ল্যাব স্থাপন ও উপজেলা পর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা, টেস্ট করার জন্য ধার্যকৃত ফি বাতিল, টেস্টের কিট সরবরাহ এবং সর্বোপরি ঈদে সব ধরনের গণপরিবহন ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন