ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, দেশের বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারের পেঁয়াজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, এটা কৃত্রিম সংকট। এটাতে সরকারেরও কারসাজি থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতেই পেঁয়াজের এই মূল্য বৃদ্ধি।

পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, অবিলম্বে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক করতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
তিনি বলেন, ভারতের ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে পাঠানোর সাথে সাথেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে এই সংবাদ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাজার সিন্ডিকেটের হোতারা তেলেসমাতি শুরু করে দেয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, মজুদে পেঁয়াজ আছে। কিন্তু সরকারি দলের সমর্থিত সিন্ডিকেট তাদেরকে সুবিধা দেয়ার জন্য, তাদের অর্থ-বিত্ত বাড়ানোর জন্য আজকে কৃত্রিমভাবে এই সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। তাতে স্বল্প আয়ের মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষ, মজুর, কৃষক, ভুমিহীন কৃষকরা সবচাইতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।

তিনি বলেন, এর আগেরবারও সরকার বলেছিলো- পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর কোনো সমস্যা নাই। এই কথা বলার মানে হচ্ছে জনগণের সাথে তামাশা করা। সরকারের সেই কথাগুলো মানুষ ভুলে যায়নি। যেদিনই বলেছেন তার পরেরদিনই দাম বেড়েছে। গত বছর তিন'শ টাকা কেজি হয়েছিলো। তারা ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ফেললেন। জনগণের সাথে এই মস্করাগুলো করেছে সরকার।

রিজভী বলেন, মূলত ভোটারবিহীন সরকারের দুর্নীতি, টাকা পাঁচার, লুটপাটের মাধ্যমে পাহাড় সমান সম্পদ অর্জনের ফলোশ্রুতিতে তারা দেশের মানুষের প্রতি উদাসীন। জনগণ বাঁচলো কি মরলো সেটি তাদের বিবেচ্য নয়। অদ্ভুত এক আঁধার নেমে এসেছে এদের আমলে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।