১২ ডিসেম্বর গণফোরামের মূল অংশের কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। সেটা হচ্ছে না। দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এতে তিনি বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গণফোরামের ঐক্যবদ্ধ কাউন্সিল অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে। আগামী কাউন্সিলের তারিখ পরে জানানো হবে।

দলটির নেতাকর্মীরা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে দলটির বিশেষ কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় কমিটিকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ে গণফোরাম। দু’পক্ষের কোন্দলকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ মে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিলুপ্ত করে ৭০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। কিন্তু এতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত না করে আরও উসকে দেওয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে দলটির বিক্ষুব্ধ নেতারা বর্ধিত সভা আয়োজন করেন। এতে আগামী ২৬ ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়ে বিভক্তির সূচনা করেন তারা। গঠন করা হয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

এসময় দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহসীন রশিদ, আ ও ম শফিকউল্লাহ ও মোশতাক আহমেদকে বহিষ্কার করেন তারা। এর পাল্টা হিসেবে ১৭ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন মূল অংশটিও জাতীয় প্রেসক্লাবে বর্ধিত সভা করেন। তারাও আগামী ১২ ডিসেম্বর কাউন্সিলের ঘোষণা করেন।

কিন্তু এসময়ে দলটির বিক্ষুব্ধ আট নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাবেক নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, হেলালউদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, খান সিদ্দিকুর রহমান ও আবদুল হাসিব চৌধুরী রয়েছেন। এদের মধ্যে হেলাল, লতিফুল, সিদ্দিকুর ও হাসিব চৌধুরীকে আগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।

দলের এরকম পরিস্থিতিতে ড. কামাল হোসেন নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিবদমান দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। যার ফলে আগামীতে ঐক্যবদ্ধ কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।