মিরসরাইয়ে স্লোগান দেওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। বুধবার বিকেলে মিরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মাঈনুর ইসলাম রানা, যুবলীগের কর্মী মো. শাকিল, মিয়াখান, নুরুচ্ছাপা, হৃদয়, ইমন, নোমান, আমজাদ, আবুল কালাম ও রিপনকে মিরসরাই সেবা আধুনিক, মাতৃকা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কালামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। প্রধান অতিথি মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুল রহমান রুহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল মোস্তফা মানিকসহ নেতারা উপস্থিত হলে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ চলাকালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মাঈনুর ইসলাম রানার নেতৃত্বে প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে থাকলে স্লোগান ও মঞ্চের সামনে বসার জায়গা দখল নিয়ে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এর পর সমাবেশে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে লাঠিসোটা, পাথর নিয়ে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রধান অতিথি বারবার মাইকে নেতাকর্মীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েও কাজ না হওয়ায় সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা করেন।

উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল মোস্তফা মানিক জানান, শুরু থেকে অনুষ্ঠান ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু শেষপর্যায়ে একটি মিছিল সমাবেশস্থলে এসে উচ্ছৃঙ্খলভাবে টানা স্লোগান দেয়। তাই শেষপর্যন্ত সমাবেশ সুন্দরভাবে শেষ করা যায়নি। আমাদের কাছে সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আছে, তা দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত রয়েছে।