রাজধানীতে 'শোষণবিরোধী মিছিল' করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিছিলটি রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, শিক্ষা অধিকার চত্বর, নূর হোসেন চত্বর প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলের সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি তাহসীন মল্লিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক মেঘ মল্লার বসু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মিখা পিরেগু, নারায়ণগঞ্জ শহর সংসদের সভাপতি পরমা পৃথ্বী প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, এ সময়ে মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকে জয় করার লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ হবে এই মিছিল। রাষ্ট্র ও সমাজে বিদ্যমান প্রতিটি সংকট পরস্পরের সঙ্গে জড়িত, কোনোটাই বিচ্ছিন্ন নয়। তাই এই শোষণবিরোধী মিছিল কোনো একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়নি, হয়েছে সব শোষণের বিরুদ্ধে যূথবদ্ধ প্রতিবাদ হিসেবে। তারা বলেন, শোষণ একটি সামগ্রিক বিষয়। তা স্রেফ নানারূপে আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। তার বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র কার্যকর উপায় যাবতীয় লাঞ্ছিতকে এক পতাকার নিচে আনা।

এর আগে ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের দুই শতাধিক নেতাকর্মী শাহবাগ মোড়ে একত্র হয়ে মিছিল শুরু করেন। এ সময় তারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়ন, রাষ্ট্রায়ত্ত কলকারখানা বেসরকারীকরণ ও শোষণের বিরুদ্ধে স্লোগান সংবলিত ব্যানার বহন করেন। কেন্দ্রীয় মিছিল শহীদ মিনারে পৌঁছলে 'তুই ধর্ষক' শীর্ষক ফ্ল্যাশ মব প্রদর্শিত হয়। এর পর ফের মিছিল নিয়ে ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা শিক্ষা অধিকার চত্বরে পৌঁছান এবং সেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রের নানা সংকট নিয়ে বক্তব্য দেন সংগঠনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা তো নেইই; উপরন্তু সন্তানকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এই রাষ্ট্রে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা পর্যন্ত নেই। জনগণের করের টাকায় বেতন হয় যে আমলাদের, তারা আজ রাজনীতিকদের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে।

এর পর মিছিলটি পুলিশ সদর দপ্তর এবং নূর হোসেন চত্বর অতিক্রম করে সবশেষে পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।