করোনা নয়, সরকার বিএনপি দমনে মরিয়া: ফখরুল

সরকার মহামারি করোনা মোকাবিলা নয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের উদাসীনতা, ব্যর্থতায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ফরিদপুরের সালথার ঘটনার সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনোভাবে জড়িত না থাকলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অথচ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সালথার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের উস্কানি ছিল। অন্যদিকে, পুলিশি গ্রেপ্তারি অভিযানের কারণে পুরো এলাকা মানুষশূন্য হয়ে গেছে। সালথার ঘটনায় মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীসহ নামে-বেনামে চার হাজার মানুষকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় সালথায় ভয়, আতঙ্ক ও বিভীষিকাময় পরিবেশ বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে নিরীহ মানুষকে হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে। বিবৃতিতে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও সালথায় স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশে গত বছরের তুলনায় করোনাভাইরাস আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে আগের বছরের মতোই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে সরকার। পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধে সরকার কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে সাত দিনের লকডাউন জারি করেছে।

কিন্তু সরকার লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর করতে ব্যর্থ হচ্ছে। নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে এখন জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে সরকার। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই কোনো দায়বদ্ধতাও নেই তাদের। এই ভয়াবহ দুঃশাসনের জন্য জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতেই হবে।