নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করে বলেছেন, এই সরকার অমানবিক সরকার, তাদের কাছে কেঁদে কোনো লাভ নেই। গত আট বছর গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরা কান্নাকাটি করেছেন। তাদের কান্না দেখে আমার চোখেও পানি এসেছে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এখন আর কান্না নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের ডাকে'র মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে  শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এর আয়োজন করা হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একজন মানুষকে যদি খুঁজে না পাওয়া যায়, তাকে খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব কার? আমাদের জানমাল ও সম্পদের গ্যারান্টার সরকার। তাই নিখোঁজদের সন্ধান পেতে নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে সরকারকে চাপ দিতে হবে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে প্রস্তাব রাখতে চাই- আপনারা এক দিন কোথাও কয়েক ঘণ্টার জন্য অবস্থান নিন। ঢাকাবাসীকে বলুন আমাদের হারানো স্বজনদের ফিরে পেতে সংহতি ঘোষণা করতে। সরকারকে এভাবে চাপ দিতে না পারলে কোনো কাজে আসবে না।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মান্না বলেন, রোজিনা ইসলামকে ছেড়ে না দিলে সরকারের বিপদ আরও বাড়তে পারত। ওই রকম বিপদের জায়গা তৈরি করুন।

মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও নিখোঁজদের ছবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে। শুধু ভিন্ন মত ও রাজনীতির কারণে তারা গুম হয়েছেন। বিরোধী দলের মনোবল ভেঙে দিতে এমন করা হয়েছে।

মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী আফরোজা ইসলাম আঁখির সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম, 'গুম হওয়া' এম ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ও সাজেদুল ইসলাম সুমনের বড় বোন মারুফা ইসলাম ফেরদৌসীসহ অনেকে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।