- রাজনীতি
- সুস্থ নয় এমন শিশুর ঘোষণায় দল হতে পারে না: জি এম কাদের
সুস্থ নয় এমন শিশুর ঘোষণায় দল হতে পারে না: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া ছবি।
‘সুস্থ-স্বাভাবিক নয় এমন এক শিশু’র ঘোষণায় রাজনৈতিক দল হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
এরশাদপুত্র শাহাতা জারাব এরিকের 'কমিটি ঘোষণা' প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠনের আইন ও নীতিমালা রয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা রওশান এরশাদের সঙ্গে কথা না বলেই তাকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণার খবর প্রকাশ কতটা যুক্তিযুক্ত তা বিবেচনা করতে হবে।’
জাপার প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য পণ্য বিতরণ ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
গত বুধবার এরশাদপুত্র শাহাতা জারাব এরিক তার সৎ মা বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। তার মা তথা এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক এবং বড় ভাই রাহগির আল মাহীকে (সাদ এরশাদ) কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন এরিক। তার এই ঘোষণায় রাজনীতিতে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
তবে বুধবার রাতেই রওশন এরশাদ ও তার ছেলে সাদ এরশাদের বরাতে জাপার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা এই ঘোষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। চেয়ারম্যান পদ পেতে আগ্রহী নন রওশন।
জিএম কাদের বলেছেন, রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণার খবর প্রকাশের আগে তার সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল গণমাধ্যমের।
এরশাদের মৃত্যুর পর জাপার নেতৃত্বে আসা জিএম কাদের বলেন, ‘রওশন এরশাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। রওশন এরশাদ স্পষ্ট করে বলেছেন চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা তার নেই। বরং জাপাকে শক্তিশালী করতে জিএম কাদেরের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।’
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে না পারায় সরকারের সমালোচনা করেন জাপা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেয়ে মানুষের জীবন বাঁচানো জরুরি। বাজেট হয় জনগনের ট্যাক্সের টাকায়। তা থেকে প্রতি মাসে দরিদ্র পরিবার প্রতি অন্তত ১০ হাজার টাকা দিলে দেশের মানুষ বাঁচতে পারবে। লকডাউনও সফল হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে জি এম কাদের বলেন, ‘শুধু হাত ধুয়ে ও মাস্ক পরে করোনা যাবে না। সবাইকে টিকা দিতে হবে। সরকার যে গতিতে টিকা দিচ্ছে তাতে সব নাগরিকের টিকা দিতে পাঁচ থেকে ১০ বছর লাগবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাখন সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন