- রাজনীতি
- গণটিকা গণহয়রানিতে পরিণত হয়েছে: বাম জোট
গণটিকা গণহয়রানিতে পরিণত হয়েছে: বাম জোট

দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনাহীনতা, সমন্বয়হীনতা, আত্মম্ভরিতা ও দুর্নীতি-অনিয়মের কারণেই করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে। সরকারের একেক মন্ত্রীর একেক রকম বক্তব্য এবং সকালে এক সিদ্ধান্ত বিকেলে আরেক সিদ্ধান্ত- এসব চরম ব্যর্থতা ও অস্থিরতার প্রকাশ। এখন করোনার টিকা প্রদানেও নানা অনিয়ম দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, জনবল নিয়োগ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব এবং দলীয়করণের ফলে গণটিকা গণহয়রানিতে পরিণত হয়েছে।
শনিবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের অনলাইন সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফী রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনিরুদ্দিন পাপ্পু, শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাচ্চু ভূঁইয়া প্রমুখ।
নেতারা বলেন, করোনা পরিস্থিতি কারও একার পক্ষে বা এক দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এটা গত দেড় বছরে গোটা বিশ্ব বুঝলেও এদেশের 'ভোট ডাকাতির অবৈধ সরকার' বুঝছে না। তাই সরকার যৌথ সমন্বিত উদ্যোগের বদলে অন্য সবকিছুর মতোই করোনা সংকটকেও দলীয়করণ ও দলীয় সংকীর্ণতায় এককভাবে মোকাবিলা করতে গিয়ে পরিস্থিতি লেজেগোবরে করে ফেলেছে। এর নিকৃষ্টতম শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সভার প্রস্তাবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে অবিলম্বে দৈনিক কমপক্ষে দুই লাখ করোনা পরীক্ষা, গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ, উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরি ও ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে বিনামূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসা, প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে জটিলতা ও হয়রানিমুক্তভাবে দ্রুত টিকা প্রদান, কর্মহীন-শ্রমজীবী মানুষকে খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তা এবং গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হয়। এসব দাবিতে আগামী ১৮ আগস্ট সারাদেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ওইদিন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল হবে।
মন্তব্য করুন