
দেশজুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা-হামলার শিকার। হারানোরও কিছু নেই। এমন প্রেক্ষাপটে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে এক দফা আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বুধবার দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ও সহসম্পাদক পর্যায়ের নেতারা এ অভিমত দেন।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ১১০ জন নেতা অংশ নেন। বক্তব্য দেন ৬০ জন। এর আগে গত মঙ্গলবার দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয় ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে।
বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় বৈঠক শেষ হবে। আগামী শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাহী কমিটির সভা ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠকে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও একতরফা নির্বাচন করার কৌশল নিচ্ছে। এ অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে একদিকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে, অন্যদিকে সরকার পতনের আন্দোলনে যেতে হবে। বৈঠকে চেয়ারপারসনের মুক্তি, দল পুনর্গঠন, জোটের রাজনীতি, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
ধারাবাহিক এ বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার অংশ নেবেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ বৈঠকের পর দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গেও বৈঠকের সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। সবার মতামতের পর চূড়ান্ত করা হবে আন্দোলনের কৌশল।
বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের বেশিরভাগই আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। অনেক নেতা বিএনপির অতীত কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নতুনভাবে পথচলার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার অনেকে নিজ এলাকার কমিটি গঠনে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে বিএনপির বেশিরভাগ নেতা আন্দোলনে যাওয়ার যৌক্তিকতার পাশাপাশি দল ও সংগঠনের নানা অসংগতি তুলে ধরেন। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন বছরের পর বছর মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সারাদেশে সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি গঠন প্রক্রিয়াও ধীরগতিতে চলছে। এভাবে দলকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয় বলে নেতারা জানান। অনেক নেতা কমিটি গঠনে অনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়েও অভিযোগ করেন। জামায়াত নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা। তবে এর বিরোধিতাও করেছেন কয়েকজন। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেও ঐক্য করে। তাতে তাদের দলে কোনো নেতিবাচক শব্দ উচ্চারিত হয় না। বিএনপি কাকে নিয়ে চলবে, তা একমাত্র হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এমপি, মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজপথে আন্দোলন করেননি। এখন একজন থানা পর্যায়ের ছাত্রনেতাও এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। গনিমতের মাল ভাগাভাগির এই আদর্শ ত্যাগ না করলে আন্দোলন সফল হবে না। বিএনপির সহসম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু বলেছেন, আন্দোলন শুরু করার আগে যে নেতারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নেন, তাদের আগেই চিকিৎসা নিতে হবে। আন্দোলন চলাকালে সব নেতার পাসপোর্ট মহাসচিবের কাছে জমা দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন শুরু করতে হবে, কোনো অবস্থায় ব্যর্থ হওয়া যাবে না।
বিএনপি নেতা জি কে গউছ বলেন, অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি গঠনে ঢাকা থেকে নেতারা এলাকায় গিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে উঠেন। পদপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন উপঢৌকন নিয়ে সেখানে যেতে হয়। না দিলে ওই নেতারা অসন্তুষ্ট হন। আবার এলাকার নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে দিনের পর দিন রাখা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের যারা খুশি করতে পারেন, তাদেরই নেতৃত্বে আনা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বৈঠকে নেতারা ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে শর্তহীনভাবে অংশ নেওয়া এবং নির্বাচিত এমপিদের সংসদে যোগদানের বিষয়ে তারেক রহমানের কাছে জানতে চান। বৈঠকের একপর্যায়ে দু'জন এমপি সভাকক্ষ ত্যাগ করে চলে যান বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিগত দিনে যে যে পর্যায়ে ব্যর্থতা এসেছে, সেসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। যেসব এমপি, মন্ত্রী, নেতা আন্দোলন-সংগ্রামে শামিল হননি, স্থানীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নেননি তাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা উচিত।
দলের মধ্য সারির নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, রাজনীতিতে যার যা কাজ, তা তিনি সম্পাদন করলে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। নেতারা যে বক্তব্য দিলেন, তা যদি তারা অন্তরেও ধারণ করেন তাহলে দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নিশ্চয়ই সফল হবে। তাই নিজের বক্তব্য বাস্তবায়ন করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, হারুন অর রশীদ, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মাহবুবের রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, মোস্তাক মিয়া, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সালাহউদ্দিন আহমেদ, আ ন ম এহছানুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, শিরিন সুলতানা, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
সহসম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন- এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রওনকুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, শরীফুল আলম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুজ্জামান শিমুল, এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কাদের গণি চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর খান, ফিরোজ-উজ জামান মোল্লা, নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহানা আক্তার রানু, শাম্মী আখতার, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, আমিরুল ইসলাম আলীম, হেলেন জেরিন খান, শাহাবুদ্দিন সাবু, কাজী আবুল বাশার, অর্পণা রায় দাস, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ১১০ জন নেতা অংশ নেন। বক্তব্য দেন ৬০ জন। এর আগে গত মঙ্গলবার দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয় ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে।
বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় বৈঠক শেষ হবে। আগামী শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাহী কমিটির সভা ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠকে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও একতরফা নির্বাচন করার কৌশল নিচ্ছে। এ অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে একদিকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে, অন্যদিকে সরকার পতনের আন্দোলনে যেতে হবে। বৈঠকে চেয়ারপারসনের মুক্তি, দল পুনর্গঠন, জোটের রাজনীতি, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
ধারাবাহিক এ বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার অংশ নেবেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ বৈঠকের পর দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গেও বৈঠকের সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। সবার মতামতের পর চূড়ান্ত করা হবে আন্দোলনের কৌশল।
বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের বেশিরভাগই আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। অনেক নেতা বিএনপির অতীত কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নতুনভাবে পথচলার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার অনেকে নিজ এলাকার কমিটি গঠনে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে বিএনপির বেশিরভাগ নেতা আন্দোলনে যাওয়ার যৌক্তিকতার পাশাপাশি দল ও সংগঠনের নানা অসংগতি তুলে ধরেন। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন বছরের পর বছর মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সারাদেশে সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি গঠন প্রক্রিয়াও ধীরগতিতে চলছে। এভাবে দলকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয় বলে নেতারা জানান। অনেক নেতা কমিটি গঠনে অনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়েও অভিযোগ করেন। জামায়াত নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা। তবে এর বিরোধিতাও করেছেন কয়েকজন। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেও ঐক্য করে। তাতে তাদের দলে কোনো নেতিবাচক শব্দ উচ্চারিত হয় না। বিএনপি কাকে নিয়ে চলবে, তা একমাত্র হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এমপি, মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজপথে আন্দোলন করেননি। এখন একজন থানা পর্যায়ের ছাত্রনেতাও এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। গনিমতের মাল ভাগাভাগির এই আদর্শ ত্যাগ না করলে আন্দোলন সফল হবে না। বিএনপির সহসম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু বলেছেন, আন্দোলন শুরু করার আগে যে নেতারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নেন, তাদের আগেই চিকিৎসা নিতে হবে। আন্দোলন চলাকালে সব নেতার পাসপোর্ট মহাসচিবের কাছে জমা দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন শুরু করতে হবে, কোনো অবস্থায় ব্যর্থ হওয়া যাবে না।
বিএনপি নেতা জি কে গউছ বলেন, অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি গঠনে ঢাকা থেকে নেতারা এলাকায় গিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে উঠেন। পদপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন উপঢৌকন নিয়ে সেখানে যেতে হয়। না দিলে ওই নেতারা অসন্তুষ্ট হন। আবার এলাকার নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে দিনের পর দিন রাখা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের যারা খুশি করতে পারেন, তাদেরই নেতৃত্বে আনা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বৈঠকে নেতারা ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে শর্তহীনভাবে অংশ নেওয়া এবং নির্বাচিত এমপিদের সংসদে যোগদানের বিষয়ে তারেক রহমানের কাছে জানতে চান। বৈঠকের একপর্যায়ে দু'জন এমপি সভাকক্ষ ত্যাগ করে চলে যান বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিগত দিনে যে যে পর্যায়ে ব্যর্থতা এসেছে, সেসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। যেসব এমপি, মন্ত্রী, নেতা আন্দোলন-সংগ্রামে শামিল হননি, স্থানীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নেননি তাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা উচিত।
দলের মধ্য সারির নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, রাজনীতিতে যার যা কাজ, তা তিনি সম্পাদন করলে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। নেতারা যে বক্তব্য দিলেন, তা যদি তারা অন্তরেও ধারণ করেন তাহলে দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নিশ্চয়ই সফল হবে। তাই নিজের বক্তব্য বাস্তবায়ন করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, হারুন অর রশীদ, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মাহবুবের রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, মোস্তাক মিয়া, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সালাহউদ্দিন আহমেদ, আ ন ম এহছানুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, শিরিন সুলতানা, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
সহসম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন- এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রওনকুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, শরীফুল আলম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুজ্জামান শিমুল, এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কাদের গণি চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর খান, ফিরোজ-উজ জামান মোল্লা, নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহানা আক্তার রানু, শাম্মী আখতার, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, আমিরুল ইসলাম আলীম, হেলেন জেরিন খান, শাহাবুদ্দিন সাবু, কাজী আবুল বাশার, অর্পণা রায় দাস, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন