- রাজনীতি
- বাংলাদেশকে স্বীকৃতির সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা
বাংলাদেশকে স্বীকৃতির সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা

স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ‘বাংলাদেশকে স্বীকৃতির সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ। রাজধানীর কলাবাগানের বশিরউদ্দিন রোডে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৬ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকাল ৪টায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক মাইলফলক। এ দিন বাংলাদেশকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত ও ভুটান স্বীকৃতি দেয়। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ স্বীকৃতির ফলে মুক্তিযুদ্ধের গতি আরও বেগবান হয়। রণযুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তান। এই স্মৃতিকে ধরে রাখতেই এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ডা. এসএ মালেক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, মতিউর রহমান লালটু, কাজী রেহান সোবহান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান।
ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হবার পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ছাড়াও তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা। নানা বাধা-বিপত্তির পরও দেখা যায় স্বাধীনতার মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া শতাধিক দেশের স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক মাইলফলক। এ দিন সকালে ভুটানের তৎকালীন রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানিয়ে তারবার্তা দেন। একই দিনে ভারতের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের সূচনা হয়েছিল। আর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্য পদ প্রাপ্তি ছিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যসহ সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া নেদাল্যান্ডস এবং জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে। অন্যদিকে পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে নানা প্রচারণা চালায়। পাকিস্তানের সমর্থনে চীনপন্থী জোট এবং অনেক ইসলামি দেশের স্বীকৃতি আদায়ে বেগ পেতে হয় বাংলাদেশকে।
আলোচনা সভায় স্বাধীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতির নানা ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরবেন আলোচকরা। বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ যে কেউ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
মন্তব্য করুন