নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত ও সমর্থন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে এই সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য সংলাপে আমন্ত্রিত দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাশীল দল।     

মঙ্গলবার দলের দেয়া এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। আওয়ামী লীগ একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রত্যাশা করে। 

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনসম্মতভাবে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছেন।  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরুর গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি চিরাচরিতভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি ও সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। তার আমলেই ২০১২ ও ২০১৭ সালে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের অনন্য নজির স্থাপিত হয়।