বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আগামী দিনে সরকার আর নিশি রাতে নির্বাচন করতে পারবে না। যেহেতু বিশ্বের পরাশক্তির দৃষ্টি আকর্ষিত হচ্ছে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে। কোন রকম তথ্য উপাত্ত ছাড়াই তিনি দাবি করেন, সর্বশেষ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞায় প্রমাণ করে রাতের ভোটের কারিগর কারা। তার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এ রকম আরও অনেক আসবে। যদিও এটি আমাদের জন্য লজ্জাকর।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ৭ জানুয়ারি ‌‌'ফেলানী হত্যা দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত আগ্রাসীবিরোধী কনভেনশনে তিনি এ দাবি করেন। 


মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। এ রকম দুঃসহ অবস্থায় একটি অনির্বাচিত সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। তবে টানেলের শেষে আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি। আর বেশিদিন এই সরকারের আয়ু নেই। বাংলাদেশে এখন অনেক বেশি লোক রাজপথে সমাগম হচ্ছে, সাধারণ মানুষও আসছে। পরিবর্তন আসবেই।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হচ্ছে, নৌকার ভরাডুবি হচ্ছে। স্বতন্ত্র ও বিরোধী প্রার্থীরা বিজয়ী হচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এত কারচুপির পরও তারা জিততে পারছে না। জনগণ তাদের ঘৃণা করে। এক মুরাদ হাসানের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগের চেহারা কেমন তা দেখতে পেলাম। এ রকম অসংখ্য মুরাদ হাসান রয়েছে। অধিকাংশ মুরাদ হাসান পানির নিচে আছে। তাদের চেহারা এখনও দেখা যাচ্ছে না। যখন সরকার পরিবর্তন হবে তখন দেখা যাবে।


হাফিজউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন বলেন, সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে কষ্ট দিচ্ছে।


ফেলানী হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই না আর কোনো ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে থাকুক, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু আমরা আর দেখতে চাই না। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। তবে আগ্রাসন চাই না। সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে প্রতিবেশীর সঙ্গে বসবাস করতে চাই। তারা আমাদের শত্রু নয়। বাংলাদেশ অসংখ্য ভারতীয় দালালে ভর্তি হয়ে গেছে।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্লাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্লফা জামাল হায়দার, বিএনপির অর্পণা রায়, অ্যালবার্ট পি কষ্টা প্রমুখ বক্তব্য দেন।