সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি-জেপি। এছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করেছে দলটি।

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি-জেপি নেতারা এসব প্রস্তাব দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপের ১৩তম দিনে বঙ্গভবনের দরবার হলে আলোচনায় অংশ নেন তারা।

এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় পার্টি-জেপি'র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি সংলাপের জন্য বঙ্গভবনে আসেন। পরে সন্ধ্যা ছ‎য়টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা রাষ্ট্রপতি আবুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আইন প্রণয়ন ও নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি-জেপি। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি আমলানির্ভর না হয়ে সমাজের শ্রদ্ধাভাজন এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বাছাই কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনেরও প্রস্তাবও দেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রতিনিধি লকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে বলেও আশা করেন তিনি।
জাতীয় পার্টি-জেপিকে সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন ইসি গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবুল হামিদ সংলাপ শুরু করেন গত ২০ ডিসেম্বর। সংলাপের প্রথম দিনে সংসদের প্রধান বিরোধী ল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রপতি আবুল হামিদ। সোমবার পর্যন্ত ৩২টি লকে সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে আওয়ামী লীগ। সংলাপের ১৩তম দিন পর্যন্ত আমন্ত্রিত দলগুলোর মধ্যে ১৭টি সংলাপে অংশ নিয়েছে। বর্জন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), এলডিপি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি-এই ছয়টি দল।

সংলাপের ১৪তম দিনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ‎ছয়টায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে (বাংলাদেশ ন্যাপ) বৈঠকের জন্য বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।