- রাজনীতি
- বিএনপি নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে, কিন্তু ধর্মের জন্য কাজ করে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে, কিন্তু ধর্মের জন্য কাজ করে না: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি ধর্মকে ব্যবহার করলেও ধর্মের জন্য কোনো কাজ করে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ২০২১ ও করোনা সচেতনতা আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর প্রতীক গোলাম দস্তগীর গাজী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপির সমালোচনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাত ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত একযোগে ক্ষমতায় ছিলো, তারা এই কাজগুলো করে নাই। তারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছে, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ধর্মবিরোধী স্লোগান দিয়ে, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে ভোটগুলো নিজের বাক্সে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামাত নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে, কিন্তু ধর্মের জন্য কোনো কাজ তারা করেনি। বরং তারা ধর্মীয় হানাহানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। যার নিজের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
আওয়ামী লীগ ধর্মকে ব্যবহার করে না দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ইসলামের জন্য, আলেম- ওলামাদের খেদমতের জন্য কাজ করি। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার যাতে সুনিশ্চিত হয়, তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা যাতে এদেশে কেউ খর্ব করতে না পারে সেজন্য কাজ করি। তাদের ধর্মের কল্যাণের জন্যও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাজ করা হয়। কারণ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন বাংলাদেশ।’
হাছান মাহমুদ দাবি করেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা ধর্মপ্রাণ জননেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য যতো কাজ করেছেন, এদেশে আর কারও আমলে তা হয়নি। দেশের আলেম সমাজের শতবর্ষের পুরনো দাবি ছিলো একটি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান আমলেও তা পূরণ হয় নাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, এরশাদ সাহেব কেউই কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দেননি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন, সকল অপপ্রচার ঘুচিয়ে তাদেরকে চাকরিও দিয়েছেন।’
সভাপতির বক্তৃতায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পবিত্র ইসলামের কল্যাণে অনেক কাজ করেছিলেন, ইসলামী ফাউন্ডেশন তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে মদ, জুয়া, হাউজি এগুলো তিনি বন্ধ করেছিলেন, যেগুলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সকল ধর্মের কল্যাণে কাজ করছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আহমদুল্লাহ ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
অতিথিরা দেশব্যাপী ক্বিরাত প্রতিযোগিতা ‘কোরআনের সুর’ এ নারায়ণগঞ্জ জেলার সেরা প্রতিযোগীদের ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সমাজসেবী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন।
মন্তব্য করুন