আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, এটা বিশ্ববাসীর কাছে শ্রেষ্ঠ ভাষণের মর্যাদা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়নি, তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

 শুক্রবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১৪ দলের সমন্ব্বয়ক-মুখপাত্র আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনের পথ নির্দেশনা। এটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে অন্যতম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণার কারণেই নিরস্ত্র বাঙালি পাকিস্তানি শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা পায়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি শব্দ আন্দোলিত করে মুক্তিকামী বাঙালিকে। এর মধ্যে বাঙালি খুঁজে পায় স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করার সকল কলাকৌশল। এই ভাষণ যুগে যুগে শত আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস সভা সঞ্চালনা করেন।