দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে একই ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে ১১ দিনের কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। বৈঠকে ওই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সভার বিষয়বস্তু তুলে ধরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচি মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন হাট সভা পর্যায়ে পালিত হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

সভায় সরকারের অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের পদত্যাগ দাবি করে বলা হয়, ভুয়া তথ্য প্রদান করে তার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির আবেদন বাতিল হওয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক ও কলঙ্কময়। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে ভুয়া তথ্য প্রদান করা অপরাধমূলক কাজ।

সভায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও ব্যর্থতা এবং ভিন্নমত পোষণকারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে দলীয় ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রচেষ্টা তীব্রভাবে নিন্দা করা হয়। সভায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

সভায় গত ৫ মার্চ কুষ্টিয়া জেলায় ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভায় নেতারা বলেন, সীমান্তে ভারতীয় রক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না। সভায় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের জন্য ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

সভায় আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২৭ মার্চ দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য চট্টগ্রামে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।