কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান আর নেই

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামরুল আহসান শাহজাহান আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি..... রাজিউন)। সোমবার ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এর আগে হঠাৎ তার অসুস্থতা বাড়লে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকরা। ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ছয় ছেলে, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামরুল আহসান শাহজাহান মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।

সোমবার দুপুরে তার মরদেহ কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় শত-শত মানুষ তাকে শেষবারের মতো দেখতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন।

তার প্রথম নামাজে জানাজা ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা তার গ্রামের বাড়ি হাওরের মিঠামইন উপজেলার মহিষারকান্দি গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে। 

তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি দীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে কিশোরগঞ্জবাসীর সুখে-দুখে একাকার হয়েছিলেন। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। 

তার মৃত্যুতে আরও শোক প্রকাশ করেছেন কিশোরগঞ্জ- ৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ।

এছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ ফেরদৌস, পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতনসহ জেলার রাজনীতি ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা শোকপ্রকাশ করেছেন।