আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই সব ষড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা মোকাবিলা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে। দলের ভেতরের সব আভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে যার যার অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৬ বছর নির্বাসনে থেকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দেশের মাটিতে পা রেখেই কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার শপথ নিয়ে শেখ হাসিনা সারা বাংলায় ঘুরে ঘুরে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে গোটা জাতিকে কলংকমুক্ত করেছেন। তিনি প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই সব ষড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে।

আগামী মাসেই পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত করা সাপেক্ষে শিগগির সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মাসেতুর ব্যয় নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নদীর এপার-ওপার ভাঙা গড়ার খেলায় অনেক কষ্টে এই ভাঙনের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। শতভাগ সততার সঙ্গে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। সফলভাবে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রমুখ।