- রাজনীতি
- সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জিম এম কাদেরের ‘আশঙ্কা’
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জিম এম কাদেরের ‘আশঙ্কা’

আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার’ হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে তিনি আশঙ্কা করছেন।
তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামনে প্রশাসন বা সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। তাই কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে।’
কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সরকার প্রধান ঘোষণা করেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইভিএমে। সবগুলো আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ না করলেও, যে সকল আসনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না সেখানে হয়তো ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলবে।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমলাতন্ত্রের সমালোচনায় জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। ঔপনিবেশিক আমলে মানুষকে শোষণ করতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হত। প্রশাসকদের জবাবদিহিতা থাকতো শুধু সরকারের কাছে, কারণ সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসকদের কোনো জবাবদিহিতা থাকে না। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সকল ক্ষেত্রে প্রসাশক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, রাজনীতিবিদদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। তাই দেশের জনগণের কাছে কারও জবাবদিহিতা নেই।’
নির্বাচনের আগে সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রহসনের নির্বাচন চায় না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে, আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংলাপে অংশ নেব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোন জোটে যাবে তা নির্বাচনের পূর্বে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে,বর্তমানে তিনশো আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই রাজনীতির মাঠে এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গেলো তিন বছরে মানুষের ব্যয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ, কিন্তু আয় বাড়েনি। আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
চুন্নু আরও বলেন, ‘মন্ত্রীরা যা বলেন, তা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন না। মন্ত্রীরা দেশের মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে জানেন না। আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বিএনপিকেও বিশ্বাস করেন না সাধারণ মানুষ। দুটি দলের বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় দেশের মানুষ।’
শনিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের, নাজনীন সুলাতানা, মাসরুর মওলা, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ ভাসানীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
মন্তব্য করুন