সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। মিথ্যা মামলায় আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দেওয়া হয়েছে। সরকার তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিবে না। এজন্য আন্দোলন করতে হবে। যার যা অবস্থান থেকে সেই আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।’

সোমবার রাজধানীর বাসাবো এলাকায় সবুজবাগ থানা যুবদলের কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের উদ্যোগে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।

সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে শুধু রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া নয়, তাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই্‌ ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিষ্ট সরকার এবং তার অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে, দুদককে নিয়ন্ত্রণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সেটাকে পাকাপোক্ত করার জন্যই এই সরকার খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে। যাতে গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন না হয়। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। অচিরেই সেই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করবে। যেখানে জনগণের জয় হবে, মানুষের অধিকারের জয় হবে, দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে।’

মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা মহানগর ক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, সস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান, সদস্য আবুল হসনাত অনু প্রমুখ।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কিছু ঘটলে সরকারকেই দায় নিতে হবে। এদেশের মানুষ এই আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করবে না। টেনেহিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।’