‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ ষষ্ঠ পর্বের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সারাদেশে প্রথমবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত জনশুমারি ও গৃহগণনা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন ট্যাব।

গণভবনে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ট্যাব ব্যবহার করে গণনাকারীর কাছে তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। জনশুমারির জন্য মাঠপর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব গৃহ ও ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ দ্রুততম সময়ে শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া বঙ্গভবন থেকে ওয়ালটন ট্যাবের মাধ্যমে জনশুমারিতে অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পূরণ ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সারাদেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ৪ লক্ষ ওয়ালটন ট্যাব দিয়ে সাত দিন ধরে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এ শুমারি পরিচালনা করবেন। শুমারিতে প্রতিটি ব্যক্তিকে ৩৫টি তথ্য দিতে হবে। যা দেশের আগামী দিনের উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হবে।

জনগুরুত্বপূর্ণ এ জনশুমারিতে ওয়ালটন ট্যাব ব্যবহৃত হওয়ায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রথম ডিজিটাল জনশুমারিতে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বেছে নেওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জাটনিয়ে বলেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের ব্যবহার অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্চক। ফলে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পখাত আরও এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পাবে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়ক হবে। সরকারি কাজে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য ব্যবহারের এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।