জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থীর ছড়াছড়ি। সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি দলের জেলা-উপজেলা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা দলীয় মনোনয়নের আশায় রীতিমতো মুখিয়ে আছেন।

নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী ১১ প্রশাসকের নাম ওই তালিকায় রাখা হয়নি। তালিকায় কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপির পাশাপাশি দুইজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলা পর্যায়ে সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ এবং দক্ষ নেতার নাম রয়েছে। তবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাঁদের কয়েকজনের নাম থাকলেও প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছেন।

এ অবস্থায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আগামীকাল রোববার থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফরম সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার জন্য দলীয়ভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপিদের দলের মনোনয়ন না দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বাদ পড়বেন গত নির্বাচনে বিজয়ী দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তা ছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে নানা কারণে বিতর্কিত নেতাদের মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সব মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে এবার নতুন মুখের ছড়াছড়ি হবে।

সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এই নির্বাচনের ভোটার। তাঁদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ নেতা। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা তাঁদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন। এ কারণে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই হবেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী।

তবে কয়েকটি জেলায় বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ এবং বাংলাদেশ জাসদের প্রার্থীরাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হলে পঞ্চগড় পৌর বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও দলের তেঁতুলিয়া উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল করিম শাহীন নির্বাচনী যুদ্ধে নামবেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি গাইবান্ধার বর্তমান প্রশাসক। গত নির্বাচনে জয় পান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব হোসেনকে প্রার্থী করানোর চেষ্টা চলছে। কুষ্টিয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন। বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আল আমিন পঞ্চগড়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

২০১১ সালের ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ সচল হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরেই মন্ত্রী কিংবা এমপি হতে পারেননি, আওয়ামী লীগের এমন জ্যেষ্ঠ নেতারা জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁরা প্রায় পাঁচ বছর ওই দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পায়।

আগামী ১৭ অক্টোবর ৬১টি জেলা পরিষদের দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রায় ৬৩ হাজারেরও বেশি জনপ্রতিনিধি ভোট দেবেন। এর আগে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীরা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা এবং ২৫ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার করতে পারবেন।

এদিকে, নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহের কমতি নেই। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক পরিচিতি তুলে ধরছেন। দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। 'মনোনয়ন পেলে জয় অনেকটাই সম্ভব'- এই আশায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। ভোটারদের সঙ্গে সখ্য আরও প্রগাঢ় করছেন। তবে দলের মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার আগাম প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ কেউ।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছড়াছড়ি রংপুর বিভাগে

পঞ্চগড়ে প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা সারোয়ার হোসেন ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শেখ মিলনের নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলার সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, পঞ্চগড় সদর উপজেলা সভাপতি আমিরুল ইসলাম, দেবীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত জামান চৌধুরী জজ, জেলার অর্থবিষয়ক সম্পাদক মশারফ হোসেন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ।

এই জেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আল আমিনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি রয়েছে পঞ্চগড় পৌর বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও তেঁতুলিয়া উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল করিম শাহীনের।

ঠাকুরগাঁওয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন প্রশাসক সাদেক কোরাইশী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তোজাম্মেল হক মঞ্জু।

দিনাজপুরে জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম ও বজলুল হকের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিরল উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা, আবুল কালাম আজাদ, দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল ও মির্জা আশফাক হোসেনের নাম আলোচনায় রয়েছে।

নীলফামারীতে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সহসভাপতি হাফিজুর রশিদ প্রামানিক মঞ্জু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন। এ ছাড়াও জেলার কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে। এই জেলার বর্তমান প্রশাসক জয়নাল আবেদীন গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেন। তিনি এবারও প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হকের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলার সহসভাপতি নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা।

রংপুরে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলার সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সহসভাপতি এ কে এম শাহাদাত হোসেন বকুল। স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন- প্রশাসক অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ, রোজী রহমান, মহানগরের চার সহসভাপতি শাহ নবী উল্লাহ পান্না, শামীম তালুকদার, রেজাউল করিম মিলন, অ্যাডভোকেট দিলশাদ ইসলাম মুকুল, জেলার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লতিফা শওকত, মহানগরের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আলেয়া খাতুন লাভলী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক।

কুড়িগ্রামে প্রশাসক জাফর আলী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত এস এম আব্রাহাম লিংকনের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে।

গাইবান্ধায় সংক্ষিপ্ত তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও সহসভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মণ্ডলের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি গত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। ফলে এই জেলায় চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জয় পেয়েছিলেন বলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন। আতাউর রহমান এবারও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হবেন।

রাজশাহীতে বিএনপির প্রার্থী থাকলেও আধিক্য আওয়ামী লীগের

জয়পুরহাটে প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেট ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মণ্ডলের নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। তবে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম সোলায়মান আলী প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

বগুড়ায় প্রশাসক ডা. মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকলেও জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্তের নাম স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছে।

নওগাঁয় জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে এম ফজলে রাব্বী বকু, সহসভাপতি আবদুল খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মজুমদার গোপাল ও জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খোদাদাদ খাঁন পিন্টুর নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচনায় রয়েছেন প্রশাসক আশরাফুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরিফুল আলম, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও গোমস্তাপুর উপজেলার কার্যনির্বাহী সদস্য খোরশিদ আলম বাচ্চু।

এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি সামিউল হক লিটন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন এ বিএনপির নেতা।

রাজশাহীতে স্থানীয়ভাবে আলোচিত সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার, সাবেক এমপি রায়হানুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মীর ইকবাল, জেলার সহসভাপতি আমানুল হাসান দুদু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আখতার এবং জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি রবিউল আলম বাবু। প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করেন।

নাটোরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন প্রশাসক অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মর্তুজা আলী বাবলু, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া ও নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

সিরাজগঞ্জে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন প্রশাসক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ তালুকদার।

পাবনায় প্রশাসক রেজাউল রহিম লাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মতিন খানের নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। তবে জেলার সাবেক প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

খুলনায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী সমানতালে আলোচনায়

মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম ইবরাহীম শাহীনের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। বর্তমান প্রশাসক গোলাম রসুল গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করেন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাঁর নাম নেই। তবে তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়াও জেলার সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শামীম আরা হীরা সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন।

কুষ্টিয়ায় প্রশাসক রবিউল ইসলাম, খোকশা উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় আলোচনায় রয়েছেন জেলার সহসভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর। এই জেলায় নির্বাচনে লড়বেন জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন।

চুয়াডাঙ্গায় সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ ও দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু। স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান প্রশাসক শেখ শামসুল আবেদীন খোকন ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। এর মধ্যে শেখ শামসুল আবেদীন খোকন গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেন। এ জন্য দলের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাঁর নাম রাখা হয়নি।

ঝিনাইদহে প্রশাসক কনক কান্তি দাসের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দার। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, দুই সহসভাপতি মকবুল হোসেন, আব্দুস সামাদ, দুই সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম ফোটন, অশোক ধর, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, শৈলকুপা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী এবং বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ড. এম হারুন অর রশীদ।

যশোরে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন ও সহসভাপতি আবদুল মজিদ। এর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে জেলার তিন সহসভাপতি আব্দুল খালেক, খয়রাত হোসেন, আলী রায়হান, সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ আলোচনায় রয়েছেন।

মাগুরায় প্রশাসক পংকজ কুমার কুণ্ডু ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফম আব্দুল ফাত্তাহর নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে জেলার সাবেক দুই সহসভাপতি সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও মুন্সি রেজাউল হকের নাম শোনা যাচ্ছে।

নড়াইলে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বোস, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আইয়ুব আলী, লোহাগড়া উপজেলার কার্যনির্বাহী সদস্য ও প্রশাসক সুলতান মাহমুদ বিপ্লব। সাবেকদের মধ্যে সর্বশেষ প্রশাসক অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই। তিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করেন। এবারও তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আরও রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের তিন সহসভাপতি এসএম আসিফুর রহমান বাপ্পি, মোল্যা এমদাদুল ইসলাম, আজাদুর রহমান, সদর উপজেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী ও লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ হান্নান রুনু।

বাগেরহাটে প্রশাসক শেখ কামরুজ্জামান টুকু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিনের নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। স্থানীয়ভাবে জেলার দুই সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ-ই আলম বাচ্চু, ডা. মোশাররফ হোসেন ও ফকিরহাট উপজেলার সভাপতি স্বপন কুমার দাসের নাম আলোচনায় রয়েছে।

খুলনায় প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি অধ্যক্ষ দেলওয়ারা বেগম ও অ্যাডভোকেট এমএম মুজিবুর রহমানের নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। এ ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলের মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিজান, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক ও তেরখাদা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু।

সাতক্ষীরায় সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল। বর্তমান প্রশাসক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এবারও প্রার্থী হবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেন। এই জেলায় দলের স্থানীয় নেতা খলিলুল্লাহ ঝুরু ও সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বরিশালে বর্তমান প্রশাসকের অনেকেই তালিকায় নেই

বরগুনায় প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির। এ ছাড়াও জেলার দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মৃধা, আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা, দুই কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দীন হিমু মোল্লার নাম শোনা যাচ্ছে।

পটুয়াখালীতে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানের নাম রয়েছে। ওই তালিকায় বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খলিলুর রহমান মোহনের নাম নেই। তবে তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি রেজাউল করিম আলমগীর, অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মৃধা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক তসলিম সিকদার, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহীন মিয়া, রাঙ্গাবালী উপজেলার সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর সিকদার ও ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

ভোলায় প্রশাসক আবদুল মমিন টুলুর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুর নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে।

বরিশালে বর্তমান প্রশাসক মইদুল ইসলামের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস। সেই সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, দুই সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম, আনোয়ার হোসাইন ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলুর নাম স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছে।

ঝালকাঠীতে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন প্রশাসক সরদার মোহাম্মদ শাহ আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ ছালেক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান ও ফায়জুর রব আজাদের নাম শোনা যাচ্ছে।

পিরোজপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আউয়াল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম হাওলাদারের নাম রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। বর্তমান প্রশাসক মহিউদ্দিন মহারাজ গত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁর নাম তালিকায় রাখা হয়নি।

ময়মনসিংহে লড়াই হবে আওয়ামী লীগে

জামালপুরে প্রশাসক ফারুক আহমেদ চৌধুরীর নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই। তিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেন। এখানে দলের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলার দুইজন সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এইচ আর জাহিদ আনোয়ার ও মির্জা শাখাওয়াত উল আলম মনি। স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, তিন সহসভাপতি আতিকুর রাহমান ছানা, অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ ও আশরাফ হোসেন তরফদার।

শেরপুরে প্রশাসক হুমায়ন কবির রুমানের নাম নেই সংক্ষিপ্ত তালিকায়। গত নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করেন। তিনি এবারও দলের মনোনয়ন চাইবেন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ছানুর নাম রয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে আলোচিতরা হচ্ছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফখরুল মজিদ খোকন ও শেরপুর পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এলজিইডির সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী আতাউর রহমান।

ময়মনসিংহে প্রশাসক অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ আলী আকন্দ সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, মহানগরের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু ও জেলার সহসভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তার নাম আলোচিত হচ্ছে।

নেত্রকোনায় প্রশাসক প্রশান্ত কুমার রায়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট অসিত সরকার সজলের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলার তিন সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, গোলাম রসুল তালুকদার, হাবিবুর রহমান রতন ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ওমর ফারুক।

ঢাকায় কম, অন্যান্য জেলায় প্রার্থী বেশি

টাঙ্গাইলে প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুকের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর খান মেনুর নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও জেলার সহসভাপতি শামছুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জে প্রশাসক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজাল অ্যাডভোকেট।

মানিকগঞ্জে প্রশাসক অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের সঙ্গে জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল এবং সাটুরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো।

মুন্সীগঞ্জের সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রশাসক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রয়েছেন ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।

ঢাকায় প্রশাসক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেনের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে।

গাজীপুরে প্রশাসক আকতারুজ্জামানের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন দলের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমদ। তবে স্থানীয়ভাবে কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলিমুদ্দিন বুদ্দিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলমের নামও শোনা যাচ্ছে।

নরসিংদীতে প্রশাসক আবদুল মতিন ভূঁইয়ার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এ ছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রার্থী হবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই।

রাজবাড়ীতে প্রশাসক ফকীর আব্দুল জব্বারের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী। এখানে আরও আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি আকবর আলী মর্জি, মহম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক সহসভাপতি ফকরুজ্জামান মুকুট, পাংশা উপজেলার সাবেক সভাপতি শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, রাজবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রেজাউল ইসলাম ও প্রয়াত এমপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর ছেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু।

ফরিদপুরে প্রশাসক অ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টারের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান। এ ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক উপদেষ্টা ডা. গোলাম কবির ও ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন।

গোপালগঞ্জে প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হকের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন জেলার দুই সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস ও জেলার কার্যনির্বাহী সদস্য ওবায়েদ মোল্লা।

মাদারীপুরে প্রশাসক মুনীর চৌধুরীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা ও সহসভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার। এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে জেলার তিন সহসভাপতি বজলুর রহমান খান রুমি, সিরাজুল ইসলাম ফরাজী (সিরাজ ফরাজী), জাহাঙ্গীর কবীর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমরান লতিফের নাম শোনা যাচ্ছে।

শরীয়তপুরে প্রশাসক ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সঙ্গে সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে। তবে গত নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী এবারও প্রার্থী হতে পারেন।

সিলেটে স্থানীয়দের পাশাপাশি দৌড়ে লন্ডন প্রবাসীরাও

সুনামগঞ্জে সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাবেক এমপি মতিউর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের নাম রয়েছে। স্থানীয়ভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শামসুন নাহার বেগম শাহানা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রোমেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য তারিখ হাসান দাউদ। বর্তমান প্রশাসক নুরুল হুদা মুকুট প্রার্থী হতে পারেন। তিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারান।

সিলেটে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনায় রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

মৌলভীবাজারে প্রশাসক মিছবাহুর রহমানের সঙ্গে প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর স্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা সায়েরা মহসিনের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে জেলার দুই সহসভাপতি আজমল হোসেন, মাসুদ আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুর রহমান বাবুল, যুক্তরাজ্য শাখার সহসভাপতি এমএ রহিম শহীদ ও জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন।

হবিগঞ্জে প্রশাসক ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীর পাশাপাশি হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে।

চট্টগ্রামে বিভাগে বেশি প্রার্থী কুমিল্লা ও চাঁদপুরে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাবেক এমপি শাহ আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী। বর্তমান প্রশাসক সফিকুল আলম গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করায় তাঁর নাম তালিকায় রাখা হয়নি। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন দলের জেলার সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন।

কুমিল্লায় প্রশাসক ও নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) আবু তাহের, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টারের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছেন মহানগরের সহসভাপতি ওমর ফারুক, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আকবর, স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ডা. এবিএম খোরশেদ আলম, হোমনা উপজেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ এবং দক্ষিণ জেলার কার্যনির্বাহী সদস্য নাজমুল হাসান পাখি।

চাঁদপুরে আলোচনায় রয়েছেন প্রশাসক ওচমান গনি পাটওয়ারী, সাবেক এমপি শামসুল হক ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আকন্দ, দুই সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী (এসডু), অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভুইয়া, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ইউসুফ গাজী, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন ও কার্যনির্বাহী সদস্য জাফর ইকবাল মুন্না।

চাঁদপুর জেলা পরিষদের গত নির্বাচনে ভিন্ন রকমের চিত্র ছিল। সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও ভোটারসংক্রান্ত জটিলতা থাকায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আওয়ামী লীগও নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। ওই নির্বাচনে জয় পান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ওচমান গনি পাটওয়ারী।

ফেনীতে প্রশাসক খায়রুল বশর মজুমদার তপন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমেদ, দুই সহসভাপতি আকরাম হোসেন হুমায়ুন, আলী হায়দার মাস্টার ও ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাউদ্দিনের নাম সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে।

নোয়াখালীতে আলোচনায় রয়েছেন প্রশাসক ডা. এবিএম জাফর উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির দুই সদস্য ডা. একেএম জাফর উল্লাহ, গোলাম মহিউদ্দিন লাতু ও নোয়াখালী পৌরসভার সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু।

লক্ষ্মীপুরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন প্রশাসক মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ তাহের ও চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার সভাপতি আবুল কাশেম।

চট্টগ্রামে প্রশাসক আবদুস সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সহসভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সহসভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু সুফিয়ান ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। এই জেলায় মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব হোসেনকে প্রার্থী করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারে প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল আবছারের নাম রয়েছে স্থানীয় আলোচনায়।

(প্রতিবেদনটিতে তথ্য দিয়েছেন সমকাল ব্যুরো, অফিস ও জেলা প্রতিনিধিরা)