আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্টনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করছে জাতীয় পার্টি (জেপি)। সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন দলটি কোথাও ব্যালট আবার কোথাও ইভিএম ব্যবহারের বিরোধী।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জেপির পক্ষ থেকে এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। সংলাপ শেষে দলটির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি-জেপি মনে করে, ইভিএম ব্যবহার করলে ৩০০টি আসনের সবজায়গায় করতে হবে। অথবা ইসির সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিটি আসনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বিতর্ক এড়াতে বর্তমান কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলার পরামর্শ দেন তারা।

গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই ৩৯টি দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ২৮ টি দল সংলাপে অংশ নিলেও দুটি দল সময় চেয়ে আবেদন জানায়। তারই অংশ হিসেবে গতকাল জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ নিরপেক্ষ এবং সব দলের অংশগ্রহণমূলক হয় সে বিষয়ে ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, কেবলমাত্র ইসি নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক ভোট করতে পারে না। দু'একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়। ইসিকে শুধু রাজনৈতিক দলের নয়, জনগনের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শহীদুল ইসলাম বলেন, ইসি নিজেকে কোন বিতর্কের মধ্যে যেন না ফেলে। নির্বাচনী আসনে সীমানা নিয়ে তিনি বলেন, একজন এমপি দীর্ঘকাল ধরে তার সংসদীয় এলাকা তৈরী করেছে। এখন বড় ধরণের পরিবর্তন আনা হলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয় সে বিষয়ে তিনি ইসির কাছে দাবি জানিয়েছেন।

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। দেড়শ আসনে ইভিএম করবে বাকি আসনে করবেন না তাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে যাবে।

এসময় প্রত্যেক আসনের ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব দেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট কাটানোর প্রস্তাব করেন।