‘আ.লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য হত্যা নির্যাতন চালাচ্ছে’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, একদিকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আচরণের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা, অন্যদিকে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ করে নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই প্রকাশ করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীল নকশা তৈরি করেছে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এসব কথা বলেন নেতারা। গত সোমবার রাতে এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি আজ বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়। সভায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও সমাবেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও কতিপয় দলবাজ পুলিশ সদস্যের যৌথ হামলায় অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে এবং নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে আইনি সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা।

সভায় বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর গোলা নিক্ষেপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর মারাত্মক হুমকি। অনির্বাচিত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে এসব ঘটনা ঘটছে। এছাড়া দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকটের সময় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচার চালাতে জনগণের ১৩২ কোটি টাকা অপচয়ের এলইডি প্রকল্প গ্রহণের তীব্র সমালোচনা করা হয়। সভায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা করার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক করে দলের নেতা ইসমাইল জাবিউল্লাহ, জহির উদ্দিন স্বপন ও এ বি এম মোশারফ সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন. ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।