জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, সরকারের স্বার্থের কাছে জনগণ নিরাপদ নয়। তারা দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির মিছিলে গুলি করে মানুষকে হত্যা করছে। অন্যদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে জনগণের মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছে। এই সরকারের পতন ছাড়া কোনো কিছুই পরিবর্তন সম্ভব নয়।

শুক্রবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য প্রীতম দাশের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

সংগঠনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নৈতিক সমাজের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ ম সা আ আমিন প্রমুখ।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের শান্তিপ্রিয় মন্ত্রীরা মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ চান না। তবে বিরোধী দলে কোনো গোলাগুলি না হলেও গুলি করে তাদের মারা হচ্ছে। ক্ষমতার জন্য যারা এত নিচে নেমে গেছে, তাদের যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমেই পতন করতে হবে।’

সরকারের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মিছিলে গুলি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। আপনারাও পারবেন না।’

নুরুল হক নুর বলেন, ‘যখন আমরা জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলি, তখন আমরা হামলার শিকার হই। এ ধরনের অধিকাংশ মামলাই ভিত্তিহীন। প্রীতমের প্রতিবাদী কণ্ঠকে বন্ধ করতে এই মামলা করা হয়েছে।’

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা শাহ আলম, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থবিষয়ক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রাজা, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুন, আদীল আমজাদ হোসেন, শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটন ও জাকিয়া শিশির।