বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রক্ত ঝরিয়ে, ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্ত সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। গুলি করে হত্যা আর সহ্য করা হবে না। মানুষের যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, গুলি চালিয়ে তা বন্ধ করা যাবে না।’

মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন হত্যার প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে নিহত শাওনের বাবা ও ছোট ভাই অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘কথায় কথায় গুলি করবেন, জেল দেবেন, আগুন জ্বালিয়ে দেবেন- এ দেশের মানুষ তা আর সহ্য করবে না। শাওনকে হত্যার পর বিএনপি নেতার কারখানা, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই তারা ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। এরপরও তারা জাতিসংঘে গিয়ে বলে, যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। কোন মুখে এসব কথা বলে?’

সমাবেশে শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার মৃত ছেলের নামে মামলাও হয়েছে। তাকে পুলিশ গুলি করে মেরেছে। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ- এটা কত কষ্টের, তা কেউ বুঝতে পারবেন না। এখন আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটে আঘাত পেয়ে আমার ছেলে মারা গেছে- এ কথা বলতে বলছে। আমি নিরাপত্তা চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা গুলিবিদ্ধ শাওনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে বাধা দিয়েছে। মুন্সীগঞ্জে চিকিৎসা করাতে পারিনি। বাধ্য হয়ে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে কষ্ট পেয়ে মারা গেছে শাওন। লাশটা পর্যন্ত দিতে চায়নি।’

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।